আনাদোলু পোস্ট

আফরিনে তুরস্কের সামরিক অভিযান চলবে: এরদোয়ান

সিরিয়ার আফরিন অঞ্চলে তুরস্কের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রজব তায়্যিব এরদোয়ান। তিনি বলেন, মানবিজ, আয়ান আল-আরব, তেল আবিয়াদ, রাস আল-আয়েন এবং কামিশলি থেকে জঙ্গিদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। তুর্কি সেনা ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির যোদ্ধারা রবিার সকালে আফরিন শহরের কেন্দ্র দখলে নেওয়ার একদিন পর সোমবার (১৯ মার্চ) এ মন্তব্য করেন এরদোয়ান। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু পোস্ট।

আনাদোলু পোস্টের প্রথম পাতা
সোমবার আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বেস্তেপে কালচার অ্যান্ড কংগ্রেস সেন্টারে বক্তব্য দেন এরদোয়ান। সেসময় তিনি জানান, আফরিন অঞ্চলে তুর্কি অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরদোয়ান আরও বলেন, অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩,৬২২ জঙ্গিকে ‘নিউট্রালাইজ’ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তুর্কি সরকার তাদের বিবৃতিতে নিহত, আত্মসমর্পণকৃত ও আটককৃত জঙ্গিদের হিসেব দিতে গিয়ে নিউট্রালাইজ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।   

এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা শহরটির (আফরিন) বেশিরভাগ জঙ্গি আস্তানা নির্মূল করেছি।’

এর আগে রবিবার তুর্কি সামরিক বাহিনী ও তাদের সিরীয় মিত্ররা আফরিন শহরে প্রবেশ করে এর নিয়ন্ত্রণ নেয়। সোমবার তুরস্কের সহকারী প্রধানমন্ত্রী বেকির বোজদাগ সাংবাদিকদের বলেন,আফরিন শহর দখল করার মাধ্যমে তুরস্ক তার সীমান্তের হুমকি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন,কুর্দি বাহিনীকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অস্ত্রই উদ্ধার করেছে তুর্কি বাহিনী। ওয়াইপিজি এসব অস্ত্র ফেলেই আফরিন থেকে পালিয়েছে।

২০ জানুয়ারি কুর্দি পিপল’স প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন আফরিনে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। তুর্কিদের কাছে ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা বলে পরিচিত। তুরস্কের অভিযানের লক্ষ্য ছিল, আফরিন থেকে কুর্দিদের উৎখাত করা। শহরটি দখল তুর্কিদের বড় ধরনের সাফল্য। এর ফলে উত্তর সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যে সীমান্ত রয়েছে সেখানে দেশটির নিয়ন্ত্রণ আরও সুসংহত হয়েছে। এর আগ থেকেই তুরস্ক এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সহযোগিতা করে আসছে।