হিন্দুস্তান টাইমস

ঝাড়খন্ডে গণিতের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেফতার

ভারতের ঝাড়খন্ডে সিবিএসই’র (সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন) গণিতের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন শিক্ষক এবং অপরজন কোচিং সেন্টারের মালিক। দুই শিক্ষক প্রশ্নপত্র খুলে হোয়াট’স অ্যাপে কোচিং সেন্টারের মালিকের কাছে তা পাঠিয়েছেন। রবিবার (১ এপ্রিল) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রথম পাতা
পুলিশকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধ ঘণ্টা আগে খোলা হয়েছিল প্রশ্নপত্র৷ এরপরই প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁস করে দিয়েছিলো অভিযুক্তরা৷ মূলত, সিবিএসই প্রশ্নপত্র খোলার সময় সকাল পৌনে দশটায়, কিন্তু প্রশ্নপত্র খোলা হয় ৯ টা ২০ নাগাদ৷ ঋষভ ও রোহিত নামে ওই ২ শিক্ষক দিল্লির একটি বেসরকারি স্কুলে কর্মরত৷ সময়ের আগে প্রশ্নপত্র খুলে তা হোয়াটসঅ্যাপে কোচিং সেন্টারের মালিককে পাঠিয়েছিলেন তারাই৷ কোচিং সেন্টারের মালিক সেই প্রশ্নের উত্তরসহ ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন৷ আর প্রশ্ন পত্র পাওয়ার জন্য প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে দিতে হয়েছিল দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার রুপি৷

সিবিএসই-র চেয়ারপার্সনকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ই-মেল করা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করেছে দিল্লি পুলিশ। গুগলের তরফ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। দিল্লির ক্রাইম বিভাগের স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিশ আরপি উপাধ্যায় বলেছেন, ই-মেল নিয়ে তথ্য তারা পেয়েছেন। যে এই ই-মেল পাঠিয়েছিল তাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির এক ছাত্র হোয়াটসঅ্যাপে এই প্রশ্ন পেয়েছিল। যা সিবিএসই-র চেয়ারপার্সনকে পাঠাতে বাবার ই-মেল আইডি ব্যবহার করে সে। সেই ছাত্র এবং তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে প্রশ্ন ফাঁস আর নতুন পরীক্ষার দিনক্ষণ নিয়ে অসন্তুষ্ট সিবিএসই-র শিক্ষার্থীরা শনিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার সকালে প্রথমে তারা সিবিএসই-র সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তার পরে দফায় দফায় কখনও সংসদ মার্গ, কখনও বিকাশ মার্গে চলে বিক্ষোভ। যোগ দেয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও। এরই মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির হিন্দি-র প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তবে সিবিএসই-র দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই প্রশ্নপত্র জাল।