ডন

কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত ২০

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক অভিযানের ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী ও তিনজন ভারতীয় বাহিনীর সদস্য। বাকি চারজন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। খবরটিকে সোমবার প্রধান শিরোনাম করেছে পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডন।

Capture

ডনের খবরে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের সন্দেহভাজন জঙ্গি বলে উল্লেখ করেছে পত্রিকাটি। শনিবার রাতে অনন্তনাগের একটি ও সোফিয়ান জেলার দুইটি লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। তবে সোফিয়ানের একটি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীকে রবিবার দিনভর বেগ পোহাতে হয়।

খবরে বলা হয়, শনিবারের অভিযানে সোফিয়ান জেলার দ্রাগাদ গ্রামে ৭ বিদ্রোহী ও দুই সেনা সদস্য নিহত হন। ৮ জন। অপর এক বিদ্রোহী নিহত হয় অনন্তনাগের দয়ালগামের অভিযানে।

সোফিয়ানের কাচদোরা এলাকায় বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে ১৫ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে তিন বিদ্রোহী, এক সেনাসদস্য এবং চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

রবিবার কাশ্মিরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এসপি বৈদ্য টুইটারে দাবি করেন, অনন্তনাগের দয়ালগ্রামে নিহত ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণ করাতে তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশও চেষ্টা চালায়। তবে তা ব্যর্থ হয়। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। সোফিয়ানের দ্রাগাদ গ্রামের অভিযানে এক কমান্ডারসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে হতাহতের ঘটনায় কাশ্মিরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। বিশেষ করে দক্ষিণ কাশ্মিরে বিক্ষোভের তীব্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব বিক্ষোভ থেকে পাথর ছুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পাল্টা জবাব দেওয়া হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কেউ যেন বিক্ষোভের ডাক দিতে না পারে সেজন্য রবিবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শ্রীনগর ও বানিহালের মধ্যে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় বাহিনীর এমন অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর থেকে রবিবার এই নিন্দা জানানো হয়।