হিন্দুস্তান টাইমস

আবারও উত্তপ্ত ভারতের হিন্দাউন শহর, কারফিউ জারি

দলিতদের ডাকা ভারত বনধ কর্মসূচি চলার সময় ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাজস্থানের হিন্দাউন শহরে দলিতদের বস্তিতে হামলা চালানো হয়েছে। এদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ট্রেডার্স ইউনিয়নের ব্যানার নিয়ে একটি দল দলিতদের উপর হামলে পড়ে। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় হিন্দাউন শহর। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শহরটিতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। বুধবার (৪ এপ্রিল) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রথম পাতা
গত ২০ মার্চ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়,দলিত তথা তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার বন্ধের আইনটিকে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে  যথেচ্ছাভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এখন থেকে আর নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তফশিলি জাতি–উপজাতির উপর অত্যাচারের কোনও মামলা দায়ের করার আগে সেই ঘটনা ডিএসপি পর্যায়ের কোনও কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। এছাড়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত কোনও সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২ এপ্রিল দলিত সংগঠনগুলোর ডাকা ভারত বনধ কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নেয়। এদিন বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়।

সোমবার বনধ চলাকালীন ভাঙচুরকারীদের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমে আসে এক দল জনতা। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় রাজস্থানের হিন্দাউন শহরে। ক্ষুব্ধ জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় প্রাক্তন মন্ত্রী ভরোসিলাল জাটভ ও বিজেপি বিধায়ক রাজকুমার জাটভের বাড়িতে। এছাড়া কয়েকজন দলিত নেতার বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার সকালে এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছিল পুলিশ। তখন কয়েকজন এলাকায় সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার অনিল কয়াল জানিয়েছেন, শহরে বুধবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। সবসময় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পুলিশ।