দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

ভারতে ব্যাংক জালিয়াতির বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল সিভিসি

 

ভারতে নিরব মোদি-মেহুল চোকসি ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনার আগেই দেশটির রত্ন ও গহনা শিল্পে অনিয়মের ব্যাপারে সতর্ক হতে বলেছিল সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন (সিভিসি)। এই ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপি আত্মসাত করেছে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি। সম্প্রতি সিভিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এতে করে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের (পিএনবি) ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। খবরটিকে সোমবার (৯ এপ্রিল) প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতের শীর্ষ দৈনিক দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Capture

সিভিসি’র ২০১৭ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বছরের ৫ জানুয়ারি সিবিআই ও আইন শৃঙ্খলা দফতরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ১০টি ব্যাংকের প্রধান নজরদারি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে জালিয়াতিতে জড়িত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের (পিএনবি) কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশটির জুয়েলারি খাতের ব্যাপক অনিয়মেয়র ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। সেখানে বিশেষ করে জাতিন মেহতার উইনসাম গ্রুপের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।   

পিএনবি কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিরব মোদি ও মেহুল চোকসি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশত্যাগ করেন। তারা দেশ ছাড়ার পরপরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তবে সিভিসি’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পিএনবি’র জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে।

নজরদারি কমিশনের প্রধান কে ভি চৌধুরী টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, বৈঠকটি বিশেষ করে জাতিন মেহতার উইনসাম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ বিষয়ে ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে এই বিষয়টি ছাড়াও গহনা শিল্পে নানা ধরনের প্রতারণা, তদন্ত প্রক্রিয়া ও ঋণগ্রহীতার হিসাব ও স্বর্ণ আমদানি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

তখনও মোদি-চোকসি প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ পায়নি। কিন্তু পিএনবি তখনও মেহতাকে অন্য ব্যাংকের চেয়ে বেশি ঋণ দিয়ে রেখেছিল। ব্যাংকটি মেহতাকে ১৬৫৪ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছে। আর সব মিলিয়ে লোকটি ৬ হাজার ২০০ কোটি রুপি আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন।