গালফ টাইমস

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত, প্রতিরক্ষা, সামরিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সোমবার (৯ এপ্রিল) মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন ও প্রসারের ব্যাপারে একমত হন তারা। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমস।

গালফ টাইমসের প্রথম পাতা
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য ম্যাটিস কাতারের আমির এবং তার সফরসঙ্গীদের ধন্যবাদ জানান। কাতারের আমির থানি এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাটিস সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সাম্প্রতিক কিছু পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র কাতার। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি এ দেশটিতেই অবস্থিত। তবে গত বছর আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের বিরোধকে কেন্দ্র করে দোহা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ঘোলাটে হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালের ৫ জুন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগে কাতারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বে অবরোধ আরোপ করা হয়। এতে করে কাতার জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যদিও সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। প্রাথমিকভাবে সৌদি আরবের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে দোহার বিরুদ্ধে সুর নরম করেন তিনি। সংকট সমাধানে মধ্যস্থতারও আগ্রহ দেখিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের তিন সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় দেশটিতে সফর শুরু করেছেন কাতারি আমির থানি।