দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

স্পিকার পল রায়ানের চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে হতাশ রিপাবলিকানরা

যুক্তরাষ্ট্র সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের  স্পিকার পল রায়ান অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনীতিতে সবচেয়ে শক্তিশালী পদগুলোর একটি ছেড়ে চলে যাওয়ার তার এই সিদ্ধান্তের কারণে  হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভে রিপাবলিকানদের একচ্ছত্র আধিপত্য হুমকির মুখে পড়বে। তার নেতৃত্বে সামনের মধ্যবর্তী নির্বাচন পার করে যাওয়ার আশা করেছিল রিপাবলিকানরা। ‘রায়ান উইল রিটায়ার, স্ক্যাটারিং হোপস অফ জিওপি ফর টু থাউজেন্ড এইট্টিন’  শিরোনাম দিয়ে এ বিষয়ে ১২ এপ্রিল প্রথম পাতায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

pp

বুধবার পল রায়ানের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানার পর তা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না রিপাবলিকান পার্টির অনেক সদস্য। ডেমোক্র্যাটরা যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসন করার কথা ভাবছেন, সেখানে রায়ানের এই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি নামে খ্যাত রিপাবলিকান পার্টির ওপর অবধারিতভাবে গভীর প্রভাব ফেলবে। নিম্ন কক্ষে রিপাবলিকানদের ৫০ টি আসন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ওই আসনগুলোতে সামনের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের না জেতার সম্ভাবনাই বেশি। আসনগুলোতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৪০ শতাংশের মতো। স্বাভবিকভাবেই প্রেসিডেন্টের দলের প্রার্থীরাও ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবেন। তার ওপর পল রায়ানের মতো নির্ভরযোগ্য রিপাবলিকান নেতার আর নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে হতাসিরদলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

পল রায়ান এক সময় রিপাবলিকান পার্টির  পক্ষ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের সদস্যদের মধ্যে তিনিই দলের জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছেন। সামনের নির্বাচনের জন্য এখন পর্যন্ত তিনি রিপাবলিকান পার্টির তহবিলে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ডলারের অনুদান এনে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার পার্থক্য এই যে,  ট্রাম্প পরিস্থিতি অশান্ত করে তোলেন। আর পল রায়ান স্থিতিশীল ব্যক্তিত্বের মানুষ, ব্যবসায়ীরা যার ওপর ওপর আস্থা রেখে আসছে।

রায়ানের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো, রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হলেও তিনি উদারনৈতিক রাজনৈতিক প্রচারণার পক্ষে ছিলেন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক কর্মসূচিভিত্তিক প্রচারণার দিকে দলকে নিয়ে যেতে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে,  অন্যদিকে চরম ডানপন্থী প্রচারণাতেই আনন্দ পান ট্রাম্প।