সানডে টাইমস

আসিফা হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার আদালতের দাবি পিডিপি’র

জম্মুর কাঠুয়া অঞ্চলের যাযাবর মুসলিম বাকারওয়াল গোষ্ঠীর ৮ বছর বয়সী মেয়ে আসিফা বানুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলাল বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে কাশ্মিরের ক্ষমতাসীন দল জম্মু-কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)। দলের প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি শনিবার জম্মু ও কাশ্মির উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে ওই দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠার অনুরোধ জানান।এমন আদালত প্রতিষ্ঠা করা গেলে ৯০ দিনের মধ্যে আসিফা ধর্ষণ ও হত্যার বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব। খবরটিকে রবিবার প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমস।

Capture

আসিফাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক সরকারি কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করেছে ভারতের আদালত। মধ্য জানুয়ারির ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার দিন অভিযোগপত্র জনসম্মুখে আনা হয়। জানুয়ারিতে এ নিয়ে তেমন উত্তেজনা না হলেও এ ঘটনায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর সোচ্চার হয়ে উঠেছে বলিউডসহ সারা ভারত। হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, মেহবুবার নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মিরের সরকার অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরা হলেন, উপ-পরিদর্শক আনন্দ দত্ত, প্রধান কনস্টেবল তিলক রাজ, বিশেষ পুলিশ কর্মকর্তাদীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দর ভারমা।  

কাঠুয়ার উপত্যকায় ঘোড়া চড়ানোর সময় অপহরণ করা হয় আসিফাকে। আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম তার ভাগ্নে ও একজন পুলিশ সদস্যকে আসিফা নামের ওই শিশুকে অপহরণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ বাস্তবায়নের পর মন্দিরে আটকে রেখে তিন দিন ধরে একদল হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ করে আসিফাকে। পরে মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে। ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে মেহবুবা তার বিবৃতিতে বলেন: ‘এই ঘটনা একশ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার ভারতবর্ষের জন্য একটি নৈতিক, রাজনৈতিক ও মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর যথাযথ ও সমুচিত জবাব দিতে বিন্দুমাত্র দেরি করার উপায় নাই।’