দ্য হিন্দু

ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ, কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কুমারাস্বামী

ভারতের কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার মাত্র দুইদিন পরই পদত্যাগ করেছেন বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা। শপথ নেওয়ার পর আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় আগেই পদত্যাগ করেন তিনি। এ ফলে কর্নাটকের স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেডিএস’র নেতা কুমারাস্বামীর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে। দলটিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার শর্তে জোটে টেনেছে কংগ্রেস। রবিবার (২০ মে) খবরটিকে নিজেদের প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

Capture

খবরে বলা হয়, ১২ মে কর্নাটকে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। ১৫ মে নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে। ১০৪ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে কর্নাটকে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। কংগ্রেস পায় ৭৮ আসন এবং জিডি (এস) ৩৭। সরকার গড়তে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েরই জেডি (এস)-র সঙ্গে জোট করার প্রয়োজন ছিল। ১৬ মে বিজেপিকে ডেকে পাঠান কর্নাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালা। পরদিন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে শপথ নিতে বলেন। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস। সর্বোচ্চ আদালতে ১৬-১৭ মে মধ্যরাতে শুনানি চলে। শুনানির শেষ দিনে রাত ২টা ১১ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। ইয়েদুরাপ্পার শপথ গ্রহণে কোনও স্থগিতাদেশ আসেনি সেদিন। এদিন সকাল ৯টায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথও নেন ইয়েদুরাপ্পা।

সর্বোচ্চ আদালত শপথে স্থগিতাদেশ না দিলেও ১৯ মে-র মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে, এমন নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে ১৯ মে আস্থাভোটের লাইভ সম্প্রচার করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সেই আস্থাভোট শুরুর আগেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগের খবর আসে। তিনি বলেন, ‘আস্থাভোটে যাব না, আমি ইস্তফা দিচ্ছি।

ইয়েদুরাপ্পার আস্থাভোটে না যাওয়ার কারণ হলো কংগ্রেস ও জনতা দল (সেক্যুলার) এর মধ্যে সমঝোতা। বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য কংগ্রেস ইতোমধ্যে তাদের জোটের শরীক দলের নেতা এইচ ডি কুমারাস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। এর ফলে জনতা দলকে আর নিজেদের দিকে টানতে পারেনি বিজেপি। ফলে আস্থা ভোটে গেলে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ইয়াদুরাপ্পে।