দ্য স্ট্রেইটস টাইমস

নাজিব সরকারের দেনা ৩৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার: মালয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী

বড় বড় প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ার পূর্ববর্তী সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে কী ধরনের হুমকিতে ফেলেছে তার বিস্তারিত প্রকাশ করার দাবি করেছে নতুন প্রশাসন। মঙ্গলবার (২২ মে) সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে যখন দুর্নীতিবিরোধী কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করছিলো, তখন দেশের ধার-দেনার তুলনামুলক চিত্র উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী। জানান দেশের দেনার পরিমাণ ৩৩,৮০০ কোটি ডলার। বুধবার (২৩ মে) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস। 

দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রথম পাতা
মালয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী লিম গুয়ান ইং জানান গত বছরের শেষ নাগাদ নাজিব রাজাকের প্রশাসনের আওতায় দেশের দেনা ১ লাখ কোটি মালয়েশীয় রিঙ্গিত (৩৩,৮০০ কোটি ডলার) ছাড়িয়েছে, যা আগের সরকারের তুলনায় অনেক বেশি। আগের সরকারের সময় এ দেনার পরিমাণ ছিল ৭০ হাজার কোটি রিঙ্গিত।  

মালয়েশিয়ার নতুন প্রশাসন বলছে, অপব্যয় ও দুর্নীতি কমাতে তারা প্রতিরক্ষা চুক্তি, গৃহায়ন প্রকল্প এমনকি সিঙ্গাপুরে হাই স্পিড রেল প্রকল্প নতুন করে পর্যালোচনা করবে। অর্থমন্ত্রী লিমের দাবি, পূর্ববর্তী সরকারের ওয়ান এমডিবি আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ‘বেইল আউট’ (ঋণদাতাদের দেওয়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সহায়তা নেওয়ার অবস্থা) দশায় পৌঁছায়। গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় তহবিলের দেনা চুকানোর বাধ্যবাধকতা মেটাতে গিয়ে ৭০০ কোটি রিঙ্গিত পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে আবুধাবিতে আইপিআইসি তহবিলে ৫০০ কোটিরও বেশি রিঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। লিম মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে ওয়ানএমডিবি যে মালয়েশীয়দের ধোঁকা দিয়েছে তা বোঝা যায়। কারণ মালয়েশীয়দের বোঝানো হচ্ছিলো যে দেনার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আছে।     

লিম বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে পূর্ববর্তী সরকার জনগণকে আলোচিত কিছু বিষয় বিশেষ করে ওয়ানএমডিবি নিয়ে ধোঁকা দিয়েছে, এমনকি পার্লামেন্টেও তারা দেশের আর্থিক অবস্থার চিত্রকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।’

মালয়েশিয়া দেউলিয়া ঘোষণার পথে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে লিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগের সরকারের সময়ে হলে বলতাম অবশ্যই, কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে আমরা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাবো।’