দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন

এমডি কোছারির বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংক

আইসিআইসিআই ব্যাংকের এমডি ও সিইও চন্দা কোছারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৯ মে) ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, চন্দা কোছারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতেই একজন 'নিরপেক্ষ ও উপযুক্ত' ব্যক্তিকে দিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করানো হবে। তারা আরও বলেছে, তদন্তে কোনও দিকই বাদ দেওয়া হবে না। এখন অবধি এই অভিযোগ সংক্রান্ত যে যে বিষয় উঠে এসেছে এবং তদন্ত চলাকালীন যা জানা যাবে সবই খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজন মতো ফরেনসিক পরীক্ষা বা ইমেইল রিভিউ, প্রাসঙ্গিক কর্মীদের বিবৃতি নথিভুক্ত সবরকমভাবেই তদন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।

দ্য হিন্দু
ভিডিওকন গোষ্ঠীকে ঋণ দিতে গিয়ে চন্দা কোছার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছে। এরপর ২০১৬ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এক বিনিয়োগকারী অরবিন্দ গুপ্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেন। তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, ২০১২ সালে ভিডিওকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সময় স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন চন্দা। ভিডিওকন গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বেনুগোপাল ধুত, চন্দা কোছারের স্বামী দীপক কোছারের সঙ্গে মিলিতভাবে ২০১০ সালে নিউপাওয়ার রিনিউএবেল্স সংস্থা গঠন করেছিলেন। তাতে বেনুগোপাল ৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু, অভিযোগ ২০১২ তে আইসিআইসিআই-এর ঋণ পাওয়ার ছ'মাসের মধ্যে তিনি মাত্র ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে নিউপাওয়ার রিনিউএবেল্স-এর প্রোপ্রাইটরশিপ দিয়ে দেন দীপক কোছারের একটি ট্রাস্টকে। এ নিয়েই স্বার্থের সংঘাত দেখা দেয়।  

কদিন আগেই এই নিয়ে সিকিওরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি, আইসিআইসিআই ব্যাংক ও চন্দা কোছারকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। তাদের অভিযোগ, লিস্টিং অবলিগেশন অ্যান্ড ডিসক্লোজার রিকয়্যারমেন্টস বা এলওডিআর লঙ্ঘন করেছে আইসিআইসিআই ব্যাংক। আগে থেকেই কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এবং ডিসক্লোজার ল্যাপস নিয়ে ব্যাঙ্কটির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিল সেবি।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম কে শর্মা বরাবর এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। অবশ্য গত মার্চে তিনি বলেছিলেন, নিউপাওয়ার রিনিউএবেল্স-এর বিনিয়োগকারী ছিলেন বেনুগোপাল ধুত, কিন্তু ভিডিওকন গোষ্ঠীর কোনও বিনিয়োগ ছিল না সংস্থাটিতে। তাই এক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ সঠিক নয়।

দ্য হিন্দু বিজনেস লাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোছারির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তদন্তকারী নির্ধারণের ভার দেওয়া হয়েছে ব্যাংকের অডিট কমিটিকে। তদন্তকারীর নাম চূড়ান্ত করার সঙ্গে এই তদন্তের বিভিন্ন শর্তাবলী ও সময়সীমা নির্ধারণের ভারও তাদের হাতে রয়েছে। এছাড়া তদন্তের কাজে প্রয়োজনীয় স্বাধীন আইনি ও অন্যান্য পেশাগত সহযোগিতা দিয়ে অডিট কমিটি তদন্তকারী দলের প্রধানকে সহায়তাও করবে।