রুশ সাংবাদিক আরকাদি ববচেঙ্কো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনাকারী এ সাংবাদিক ইউক্রেনে নির্বাসিত। মঙ্গলবার (২৯ মে) ইউক্রেন ঘোষণা করে ববচেঙ্কো হত্যার শিকার হয়েছেন। কিন্তু একদিন পরই বুধবার (৩০ মে) জীবিত অবস্থায় সবার সামনে হাজির হন তিনি। নিহত হয়েছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সশরীরে হাজির হয়ে হত্যার ঘটনাটি সাজানো বলে জানান ববচেঙ্কো। এই সাংবাদিক দাবি করেন, রুশ প্রশাসন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলো। সেই হত্যার পরিকল্পনা নস্যাৎ করতেই নিজের মৃত্যুর গুজব ছড়ান তিনি। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
মঙ্গলবার ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানায়, ববচেঙ্কো কিয়েভে অবস্থিত নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হওয়ার পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার পিঠে তিনটি গুলি করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্ত্রী তাকে উদ্ধার করেন এবং তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন; কিন্তু পথেই মারা যান ববচেঙ্কো।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ভোলোদিমির তাৎক্ষণিকভাবে ববচেঙ্কোর মৃত্যুর জন্য রামিয়াকে দায়ী করেন। অভিযোগ করেন, পেশাদারী কাজের জন্য ববচেঙ্কোকে হত্যা করা হয়েছে।
কিন্তু বুধবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের চমকে দেন ববচেঙ্কো। ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ আযোজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখে উপস্থিত হন তিনি। জানান, তার স্ত্রীও তার পরিকল্পনার কথা জানতেন না। কষ্ট দেওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন ববচেঙ্কো। তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর ভান করা ছাড়া তার আর বিকল্প উপায় ছিল না।
ববচেঙ্কোর অভিযোগ, তাকে হত্যার পরিকল্পনা রাশিয়া থেকে করা হয়েছে এবং সেখানকার সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাই এ পরিকল্পনা করেছিল। ইউক্রেনের এসইউবি তাকে মৃত্যুর নাটক সাজাতে সহযোগিতা করেছিল উল্লেখ করে ববচেঙ্কো বলেন, ‘তারা (এসবিইউ) আমাকে প্রমাণ দেখিয়েছে এবং আমি বুঝতে পেরেছি এসব পরিকল্পনা রাশিয়া থেকে হওয়া। সম্ভবত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ পরিকল্পনা করেছে।’