দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

গাঁও বন্‌ধ আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা ভারতের কৃষকদের

ভারতের সাতটি রাজ্য ধরে চলমান ‘গাঁও বন্‌ধ’ আন্দোলনের সময়সীমা সংক্ষিপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কৃষক আন্দোলনের সংগঠনগুলো। দুগ্ধ খামারি, সবজি চাষকারীদের বিরোধিতার মুখে এ ঘোষণা দেয় তারা। শুরুতে ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হলেও এখন ৬ জুন (বুধবার) বিক্ষোভের সমাপ্তি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনগুলো। চাষীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছেন উল্লেখ করে সোমবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৫ জুন) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রথম পাতা
কৃষি খাতে বিদ্যমান সংকটের ব্যাপারে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে গত ১ জুন থেকে আন্দোলনে নামে সাত রাজ্যের কৃষকরা। এর ডাক দেয় জম্মু-কাশ্মির, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক ও কেরালা রাজ্যের ১৭২টি সংস্থার কৃষকরা। ‘গাঁও বন্‌ধ’ বা গ্রাম বন্ধ নামের এই ধর্মঘট চলাকালে শহরে দুধ ও সবজির মতো পচনশীল পণ্য সরবরাহ না করার ঘোষণা দেওয়া হয়। কৃষকদের দাবি, পূর্ণাঙ্গ ঋণ মওকুফ, শাক-সবজির দাম বাড়ানো, উৎপাদন ব্যয়ের অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ এবং স্থায়ী ন্যূনতম আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। দাবি আদায়ে মহাসড়কে অবস্থান, সড়কে খাদ্যপণ্য নষ্ট করে নিজেদের ক্ষোভের জানান দিচ্ছে কৃষকরা। ধর্মঘটের জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়তে শুরু করে।

আন্দোলনের মধ্যে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দেখা যায়। কৃষকদের হয়রানি করা এবং সহিংসতা হতেও দেখা যায়। এমন অবস্থায় কৃষকদের পক্ষ থেকেই আন্দোলন বন্ধের ডাক দেওয়া হয়।

কৃষক ইউনিয়নের নেতারা দাবি করেন, কৃষকদের ‌ওপর আন্দোলনের ভিন্ন প্রভাব পড়ছে এবং পরিস্থিতি সহিংস হয়ে পড়েছে। যে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল, সেই কেন্দ্র সরকারের চেয়ে কৃষকরাই বেশি ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছেন। ইউনিয়নের নেতারা আরও বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সবকিছু করতে চান। তাদের লড়াই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, কৃষকদের বিরুদ্ধে নয়।