দ্য হিমালয়ান টাইমস

বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হতাশ

অর্থমন্ত্রী যুবরাজ খাতিওয়াডা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময়ে বলেছিলেন নেপালকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বলা হয়েছিল দেশটির পুঁজি গঠনে পরিপূরক ভূমিকা রাখবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।  এই বক্তব্যে বিনিয়োগের অর্থের খরায় থাকা দেশটিকে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে দেশটিতে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছিল। উচ্চাভিলাষী এই লক্ষ্য পূরণে সীমিত পদক্ষেপ নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত খাতিওয়াডার এই বক্তব্য ফাঁপা বলে প্রমাণিত হওয়া শুরু করেছে। এই খবরটিকে বুধবারের প্রধান শিরোনাম করেছে দেশটির অন্যতম সংবাদপত্র দ্য হিমালয়ান।বুধবারের দ্য হিমালয়ান

নেপালের চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট বিষয়ক কমিটির প্রধান সাহিল আগরওয়াল বলেন, বাজেটে রাজস্ব মুক্তি, ভর্তুকির মতো প্রনোদনার অভাব থাকাই বিদেশি বিনিয়োগড় আকৃষ্ট করতে পারার পথে প্রদান বাধা।

বাজেটে বলা হয়েছিল বিদেশি বিনিয়োগে রফতানিমুখী উৎপাদন শিল্পকে উৎসাহ দেওয়া হবে। আর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে পারলে ওই কারখানাকে রাজস্ব ছাড় দেওয়া হবে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কার্যকর নীতি তৈরির পরিবর্তে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কিছু ‘টোকেন পদক্ষেপের’ ওপর। এর মধ্যে রয়েছে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ করা আর বিনিয়োগের প্রক্রিয়ায় আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াকে সহজসাধ্য করা। আগরওয়াল বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এসব কর্মকাণ্ডকে মৌলিক বিষয় হিসেবে দেখে থাকে। তবে এসব কারণে কেউ বিনিয়োগ করতে আসে না।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জ্বালানী, পরিবহন, কৃষি, পর্যটন, যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নেপালের কয়েক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য অভ্যন্তরীণ পুঁজির পরিমাণ পর্যাপ্ত নয়।