উত্তর ইরাক থেকে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার আগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী। মঙ্গলবার তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরেতিন চানিকলি এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু পোস্ট।
এদিকে উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তুরস্ক। আঙ্কারা বরাবরই বলে আসছে, তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সশস্ত্র বিদ্রোহীরা উত্তর ইরাকের কান্দিল অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। অঞ্চলটি ইরান সীমান্তবর্তী হওয়ায় অভিযান শুরুর আগে এ বিষয়ে তেহরানের সঙ্গে কথা বলে নিতে চায় তুরস্ক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জানিয়েছেন, ‘পিকেকে ইরানের জন্যও হুমকি। কান্দিল ইরান সীমান্তের খুব কাছে। আমরা তেহরানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
কুর্দি বিদ্রোহীদের সংগঠন পিকেকে তুরস্কে নিষিদ্ধ। দলটি প্রায় তিন দশক ধরে স্বাধীনতার দাবিতে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করেছে। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।