দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

‘স্পর্শকাতর’ ভোটকেন্দ্রগুলোতে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে পাকিস্তান

পাকিস্তানে আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রগুলোর ভেতরে ও বাইরে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করার প্রচেষ্টায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। শুক্রবার (১৫ জুন) খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা, রেঞ্জার ও পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দায়িত্ব পালনের জন্য তাদেরকে আচরণবিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে সামরিক অভিযানসংক্রান্ত মহাপরিচালক, প্রতিরক্ষা সচিব, প্রধান সচিব ও বিভিন্ন প্রদেশের আইজিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়েছে। ২৫ জুলাই পাকিস্তানজুড়ে ৪৫ হাজার ভবনে ৮৫ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেনা মোতায়েনের অনুরোধ জানাবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

অতীতে ‘স্পর্শকাতর’ ও ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকতো। আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ২২ হাজার ভোটকেন্দ্রকে ওই ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে।

এ প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরকে নির্বাচনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষা দেবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যেন সঠিকভাবে বুঝতে পারেন তাদের কাজ কী, কোথায় তাদেরকে হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং কোথায় তারা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না-সে উদ্দেশ্যেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, সাধারণ নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হবে।