হিন্দুস্তান টাইমস

কেজরিওয়ালের পাশে মমতাসহ চার মুখ্যমন্ত্রী

আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপরাজ্যপালের বাড়িতে ধর্নায় বসা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা ছাড়া আরও তিনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ মমতা সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করেন, এটা কি গণতন্ত্র? একজন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। এটা গণতন্ত্র নয়। দিল্লিতে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিলে কে দায় নেবে?’  রবিবার (১৭ জুন) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

হিন্দুস্তান টাইমস

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর আইএএস কর্মকর্তারা ধর্মঘটে নেমেছেন বলে অভিযোগ করে আম আদমি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি ও উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের ইশারায় চলছেন আইএএস কর্মকর্তারা। আইএএস কর্মকর্তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে ধর্ণায় বসে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপ-মু্খমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন ও গোপাল রায়।

শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজভবনে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি মমতাকে। আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাঁদা টুইট করে এই কথা জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘ক্ষমতার দম্ভে কাউকে ছোট করা উচিত নয়। ছ'দিন ধরে ধর্নায় বসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উপরাজ্যপাল ছ'মিনিটও সময় দিলেন না। দিল্লিতে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে অন্য রাজ্যের কী অবস্থা? প্রধানমন্ত্রীকে বলছি সমস্যার সমাধান করুন।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেওয়া উচিত। দিল্লির জনাদেশকে সম্মান করা উচিত। এখানে চার মাস ধরে কাজকর্ম বন্ধ। জবরদস্তি করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।'

শুধু একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এ দিন কেজরিওয়াল তার পাশে পেয়ে যান কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে।