দ্য জাপান টাইমস

ওসাকায় ব্যস্ত সময়ে হওয়া ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ৩০০

ভূমিকম্পের আঘাতে জাপানে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। জাপানের কানসাই অঞ্চলে হওয়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওসাকার মতো বড় শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। কয়েক দশকের মধ্যে কানসাই অঞ্চলে হওয়া ভূমিকম্পের মধ্যে ওই ভূমিকম্পই সবচেয়ে  শক্তিশালী। ৬ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে সকাল ৮টার কয়েক মিনিট আগে। উত্তর ওসাকার ১৩ কিলোমিটার ভূগর্ভে ছিল কম্পনটির উৎপত্তিস্থল। জাপানের পত্রিকা দ্য জাপান টাইমস ১৯ জুন ২০১৮ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে এ বিষয়ে, ‘ওসাকা রাশ আওয়ার কুয়েক কিলস থ্রি, ইনজুর্স থ্রি হান্ড্রেড।’Untitled

সোমাবারের ভূমিকম্প সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কানসাই অঞ্চলও জাপানের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে। ভুমিককম্পের সময় রিনা মিয়াকে নামের ৯ বছরের এক স্কুল বালিকার ওপর সুইমিং পুলের দেওয়াল ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই সে মৃত্যুবরণ করে। ওসাকার হিগাশিওদোগাওয়া ওয়ার্ডে ৮০ বছরের এক জন বৃদ্ধ মারা যান। তিনি দেওয়াল ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রাণ হারান। অন্যদিকে মোটোচিকা গোটো এলাকায় ভূমিকম্পের সময় ৮০ বছরের ইবারাকি মারা যান বুকশেল্ফের নিচে চাপা পড়ে।

ওসাকার গ্যাস সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। কম্পনের কারণে মাটির তলায় থাকা পানির লাইন ফেটে বেশি কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। ৬০ টির বেশি বুলেট ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। কানসাই ও কোবে বিমানবন্দর কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

সোমবার বিকেলের দিকে আবার ভূমিকম্পের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাখতে শুরু করলে  কিছু এলাকার দোকানে পণ্য স্বল্পতা দেখা দেয়। ওসাকার একটি রেলস্টেশনের কাছে অবস্থিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা কর্মী জাপান টাইমসকে বলেছেন, বোতলাজাত পানি কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল ক্রেতাদের মধ্যে। ভূমিকম্পের পর জাপান সরকার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।

সোমবারের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা বোঝাতে গিয়ে ৩৮ বছর বয়সী ইয়োকো ইনোউ বলেছেন, ‘ভূমিকপম্পটি খুবই শক্তিশালী ছিল। আমার ১৯৯৫ সালের ভূমিকম্পের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।’ জাপান টাইমস জানিয়েছে, ১৯৯৫ সালের ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে জাপানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন।