দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

ভারতের মহারাষ্ট্রে ছেলেধরা সন্দেহে পাঁচজনকে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের মহারাষ্ট্রের ছেলেধরা সন্দেহে ৫ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (১ জুলাই) নাশিক শহরের কাছে  ধুলে গ্রামে এ গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২ জুলাই) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রথম পাতা
দক্ষিণ ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছুদিন ধরেই একটি ভিডিও ঘুরছে। সেখানে প্রচার করা হচ্ছে ছেলেধরারা ১৪ জন শিশুকে তুলে নিয়ে গেছে। ওই গুজবের উপরে ভিত্তি করেই গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকে একের পর এক সন্দেহভাজন লোকজনকে ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি গুজরাটের আহমেদাবাদে এক ভিক্ষুককে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় দু'জনকে পিটিয়ে মারা হয়। এবার মহারাষ্ট্রে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। রবিবার পাঁচজনকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা।

রবিবার সকালে মহারাষ্ট্রের রাজ্য পরিবহন সংস্থার বাস থেকে ধুলের রানিপাড়ায় নামেন কয়েকজন ব্যক্তি। বাস থেকে নেমে তাদের একজন একটি শিশুর সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে ‌যায়। এদিন সাপ্তাহিক বাজার বসেছিল রানিপাড়ায়। বাজারে আসা লোকজনের ওই ব্যক্তিকে ছেলেধরা বলে সন্দেহ হয়। পুলিশকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, শুরুতে ওই ৫ জনকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে এলাকাবাসী। ‘সন্তোষজনক’ উত্তর না মেলায় ঘটনাস্থলেই ৫ জনকে পিটিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহগুলি পুলিশ উদ্ধার করে পিনপালনার হাসপাতালে নিয়ে ‌যায়।

জানা গেছে,ওই পাঁচজনের সঙ্গে আরও দু'জন ছিলেন। তবে কোনওরকমে সেখান থেকে পালান। মৃতদের বাড়ি মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলায়। কেন তারা ওই গ্রামে এসেছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। পাঁচজনকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করেছে।