দ্য অবজারভার

সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

৫২ বছর আগে দেশের মাটিতে একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ফেরানোর সম্ভাবনা এবার তারা জাগাচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপে। সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে যে তারা এখন সেমিফাইনালে। আর দুটি ম্যাচ জিতলেই তো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন! এ বিষয়টি নিয়ে রবিবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য অবজারভার।

Observer১৯৯০ সালে সবশেষ সেমিফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। ইতালির কাছে হেরে ওইবার চতুর্থ হয়েছিল তারা। ১৯৬৬ সালের পর আবারও ফাইনাল খেলতে হলে তাদের পেরোতে হবে আরেকটি বাধা, যেখানে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে রাশিয়া বা ক্রোয়েশিয়া। ১১ জুলাই তারা লড়বে শেষ চারে।

শুরু থেকে কোনও ঝুঁকি নিয়ে খেলেনি দুই দল। বেশ সতর্ক ছিল তারা। ম্যাচের প্রথম সুযোগ নষ্ট করে ইংল্যান্ড ১৯ মিনিটে। রহিম স্টারলিং ডিবক্সের মধ্যে থেকে হ্যারি কেইনকে বল ফেরত পাঠান। টটেনহ্যাম হটস্পার তারকার শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।

ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ৩০ মিনিটে। অ্যাশলে ইয়ংয়ের কর্নার থেকে বল ডিবক্সের মাঝে পেয়ে একটু লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন হ্যারি ম্যাগুইয়ের।

এই বিশ্বকাপে এটি ছিল ইংল্যান্ডের ১০ নম্বর গোল, যার ৮টিই সেট পিস থেকে। ১৯৬৬ সালের পর প্রথমবার এক আসরে ১০ বা তার বেশি গোল করল তারা।

বিরতিতে যাওয়ার আগে স্টারলিং দুটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। ৪৩ মিনিটে কিয়েরন ট্রিপিয়ের তুলে দেওয়া পাস ‍সুইডিশ রক্ষণভাগ ভেদ করে বক্সে পান তিনি, কিন্তু শট নেওয়ার আগে লিন্ডেলফ বল বিপদমুক্ত করেন।

দুই মিনিট পর আবারও সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি স্টারলিং। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া পাসে বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকেও সুইডিশ গোলরক্ষক রবিন ওলসেন তার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ান। তার হাত ফসকে বল বেরিয়ে যায়, আবার পায়ে বল পান স্টারলিং। কিন্তু সময় নষ্ট করায় দ্বিতীয়বার লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন স্টারলিং।

বিরতির পরই সমতা ফেরাতে পারতো সুইডেন। ইয়ংয়ের চেয়ে উঁচুতে লাফিয়ে গোলপোস্টের দিকে হেড করেন মার্কাস বার্গ। ৪৭ মিনিটে তার ওই চেষ্টা দারুণ ডাইভে ব্যর্থ করে দেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

সুইডেনের আরও দুটি সুযোগ হাতছাড়া হয় এভারটনের এই গোলকিপারের দক্ষতায়। ৬২ মিনিটে বার্গের ব্যাকহিল থেকে লক্ষ্যে শট নেন ভিক্তর ক্লাসন। পিকফোর্ড সেটা ঠেকান, তবে সুইডেন ফিরতি শট নেওয়ার আগেই জর্ডান হেন্ডারসন ব্লক করে স্বস্তি ফেরান। আবারও ইংলিশ গোলরক্ষক চমৎকার সেভ করেন ৭২ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে বার্গের শক্তিশালী শট আঙুলের ছোঁয়ায় ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান তিনি।

অবশ্য তার বেশ আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংল্যান্ড। ৫৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জেসে লিনগার্দের ভাসিয়ে দেওয়া ক্রসে গোলপোস্টের একেবারে সামনে থেকে হেড করেন ডেলে আলী। এই বিশ্বকাপে টটেনহ্যামের সমালোচিত ফরোয়ার্ড করেন ২-০। তাতে প্রায় তিন দশক পর নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের শেষ চারে ওঠা।