ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের জের ধরে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনার বিরোধিতা করে তিনি পদত্যাগ করেন। কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী এই রাজনীতিক মন্তব্য করেন, থেরেসা মে সরকারের ওই পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিটের স্বপ্নের মৃত্যু হচ্ছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি উপনিবেশ হওয়ার পথে ধাবিত করা হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ।
ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের বহু বিভক্ত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে শুক্রবার দিনভর বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর নিজের বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শেষে থেরেসা মে’র পরিকল্পনায় সায় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বরিস জনসন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত তার স্থলে আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হবে। কাজের জন্য বরিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
২০১৬ সালের গণভোট অনুযায়ী যুক্তরাজ্য এখন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ মুখ জনসনের পদত্যাগের পর থেরেসা মে’র চারিদিকে সংকট ঘণীভূত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি তাকে আস্থা ভোটের মুখেও পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যেও ব্রেক্সিট নিয়ে ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। যদি ৪৮ জন এমপি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করে চিঠি দেন তাহলে থেরেসা মে’কে আস্থা ভোটের মুখে পড়তে হবে।