দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধে ট্রাম্পের টুইট

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের প্রমাণ সংগ্রহে চলা তদন্ত বন্ধ করতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! বুধবার মার্কিন আইনমন্ত্রীর প্রতি এক টুইটার বার্তায় এই আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটা একটা জঘন্য পরিস্থিতি। আইনমন্ত্রী জেফ সেশনসের উচিত এই উইচ হান্ট বন্ধ করা। তা না হলে এটি আমাদের দেশকে আরও বেশি কালিমালিপ্ত করবে। মুলার পুরো উল্টো পথে চলছে। তিনি ও তাকে সহায়তা করা ১৭ জন ডেমোক্র্যাটদের সবাই এই নোংরা কাজে লিপ্ত। তারা যুক্তরাষ্ট্রের লজ্জা!’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস ০২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরনামগুলোর একটি করেছে এ বিষয়ে, ‘ট্রাম্পস টুইট আর্জেস সেশনস টু হল্ট ইনকুয়েরি।’Untitled

বিশেষ তদন্তকারী রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে চলা তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের টুইটার বার্তা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সেটা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। সমালোচনাকারীরা  ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আগের মতোই বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ তুলেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হোয়াইট হাউজ ও ট্রাম্পের আইনজীবীরা তড়িঘড়ি ঘটনার একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করাবার চেষ্টা করেন। তাদের দাবি, ওই তদন্তের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষুব্ধ। সেখান থেকেই তিনি টুইটারে আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা লিখেছেন। তিনি আইনমন্ত্রীকে সত্যি সত্যি ফেডারেল সরকারের তদন্তে হস্তক্ষেপের আদেশ দেওয়ার মতো গুরুতর কোনও কাজ করেননি।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা আইনমন্ত্রী জেফ সেশনসকে উদ্দেশ্য করে এমন টুইটার বার্তা প্রকাশ  করায় প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটিই বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি না! ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আগেও রবার্ট মুলার ও তার সহযোগীদের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণা কার্যক্রমের সাবেক প্রধান পল ম্যানাফোর্টের বিচারের দ্বিতীয় দিন ছিল গত মঙ্গলবার। এর মধ্য দিয়েই মুলারের তদন্তের বিষয়বস্তুগুলো আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, একদিকে ট্রাম্প তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। অন্যদিকে মুলারের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক আয়োজন করে দেওয়ার অনুরোধ করছেন আইনজীবীদের! তার ইচ্ছে, এবারের বৈঠকে তিনি মুলারের কাছে ঘটনাগুলোর বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে চান।