হিন্দুস্তান টাইমস

কাশ্মিরে বিশেষ আইন বাতিলের রায় ঘিরে উত্তেজনা

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জন্য অনুচ্ছেদ-৩৫এ নামে পরিচিত বিশেষ আইন বাতিলের রায় হবে সোমবার। আইন বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে ইতোমধ্যে রাজ্যে অবরোধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। তাই রায় প্রকাশ নিয়ে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার (৬ আগস্ট) খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের ৬ আগস্ট সোমবারের প্রচ্ছদ

খবরে বলা হয়, অনুচ্ছেদ-৩৫এ আইনে রাজ্যের বাসিন্দা ছাড়া অন্য কারো সম্পত্তি ক্রয় এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা রাখা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই আইন বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এই আইন বাতিল হলে ভারতের উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর লোকেরা  কাশ্মিরিদের জনতাত্ত্বিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে দেবে। তাই আবেদনের পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে কাশ্মির। বিষয়টি নিয়ে রায় ঘোষণার দিন তাই আগে থেকেই অবরোধ ডেকেছে স্থানীয় সংগঠনগুলো।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, আইনটি বাতিলে করা চারটি আবেদনের মধ্যে তিনটি আবেদনই করেছে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত উই দ্য সিটিজেন নামের একটি এনজিও। তাদের দাবি, আইনটি উচ্চমাত্রায় বৈষম্যমূলক। ফলে তা অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক। তাদের যুক্তি এই আইন পার্লামেন্টে অনুমোদিত নয় বরং তা প্রেসিডেন্টের আদেশে জারি করা।

এসব আবেদনের শুনানির মধ্যেই জম্মু-কাশ্মিরের রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ ও বাসিন্দারা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতা সৈয়দ আলী গিলানি, মিরাওয়াইজ ওমর ফারুক, ও ইয়াসিন মালিক দুই দিনের রাজ্য অবরোধের ডাক দেন। সম্মিলিত আন্দোলন ব্যানারে ডাক দেওয়া এই অবরোধ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে।  

এই আইনটি প্রণয়ন করেছিলেন কাশ্মিরের শেষ রাজা মহারাজা হরি সিং। ১৯২৭ সাল থেকে এই আইন জারি আছে। পরে স্বাধীনতার পর তা ভারতীয় সংবিধানে যুক্ত করা হয় এবং ১৯৫৪ সালে তা গৃহীত হয়। এই আইন বাতিলের ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীকে একত্রিত করেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, পরিবহন সমিতি ও ফল উৎপাদকদের ২৭টি সংগঠনে প্রতিনিধিরা আইনটি বহাল রাখার অঙ্গীকার করেছেন। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আইনটি জম্মু-কাশ্মিরের জনগণের জন্য জীবন-মৃত্যুর মতো বিষয়। আইনটি রক্ষায় আমরা রক্ত দিতেও প্রস্তুত আছি।