দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

পার্লামেন্টে সিংহভাগ সংরক্ষিত আসন পেলো ইমরানের দল

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সংরক্ষিত আসনগুলোর মধ্যে সিংহভাগই পেতে সক্ষম হয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)। তবে সরকার গঠনের জন্য দলটিকে এখন প্রচণ্ডভাবে ছোট ছোট সাতটি দলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কারণ, তিনটি প্রধান বিরোধী দলের আসন সংখ্যা যোগ করলে তা ইমরান খানের দলের আসন সংখ্যার প্রায় সমান। রবিবার (১২ আগস্ট) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রথম পাতা
শনিবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদে নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনে মনোনীত সদস্যদের নাম ঘোষণা করে। ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যে দল যতগুলো আসন পেয়েছে তার অনুপাতে সংরক্ষিত আসনগুলো বণ্টন করা হয়।

২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআই-এর প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ১১৬টি। পরবর্তীতে আরও ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরানের সঙ্গে যোগ দেন। শনিবার ঘোষিত সংরক্ষিত আসনসহ পিটিআই-এর প্রাপ্ত মোট আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৮টিতে। পিটিআই ২৮টি সংরক্ষিত নারী আসন ও পাঁচটি সংরক্ষিত ধর্মীয় সংখ্যালঘু আসন পেয়েছে। তবে দলটিকে ছয়টি আসন ফাঁকা করে দিতে হবে। ইমরান খানের পাওয়া পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি ছেড়ে দিতে হবে। এছাড়া সরওয়ার খান ও মেজর তাহির সাদিককে একটি করে আসন ছাড়তে হবে। ১৩ আগস্ট শপথগ্রহণের সময় আসনগুলো ছাড়তে হবে। ওইসব আসনে উপ-নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পিটিআই-এর আসন সংখ্যা হবে ১৫২টি।

১৮টি সংরক্ষিত আসন নিয়ে বিরোধী দল পিএমএল-এন-এর মোট আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২টিতে। আর ১১টি সংরক্ষিত আসন নিয়ে পিপিপি’র আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩টিতে। আরেক বিরোধী দল মুত্তাহিদা মজলিশের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫টিতে। এ তিন দল একত্রিতভাবে ১৫০টি আসনে জয় পেয়েছে, যা ইমরানের দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার কাছাকাছি।

পিটিআইকে এখন সরকার গঠনের জন্য সাতটি ছোট দলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দলগুলো একসঙ্গে ২৭টি আসন পেয়েছে।