দ্য হিমালয়ান টাইমস

নেপালের সাবেক কূটনীতিক রহস্যজনক কারণে খুন

ফ্রান্সে নিযুক্ত নেপালের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেশাব রাজ ঝা খুন হয়েছেন। সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুর বাবর মহল এলাকার নিজ বাড়ির শোবার ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার তেমন কোনও কারণ বা ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) নেপালের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক দ্য হিমালয়ান টাইমস খবরটিকে তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে।

নেপালের দ্য হিমালয়ান টাইমস পত্রিকার ২১ আগস্ট তারিখের প্রচ্ছদ

খবরে বলা হয়, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক কূটনীতিক ঝা তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। দোতলা বাড়িটি ৬ ফিট উচু দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। 

জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার ধিরাজ প্রতাপ সিং বলেন, ‘তার লাশ বিছানার ওপর পড়ে ছিল। আর তা তোশক দিয়ে সুন্দর করে ঢাকা ছিল। নিহতের গলা রান্না ঘরের চাকু দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। রক্তমাখা চাকুটি তোশকের ওপরই পড়েছিল।’ আরেক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকার পাশাপাশি তার বুকে দুটি আচড়ের দাগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খবর পাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে বাড়িটিতে যায় পুলিশ। সিং বলেন, খুনটি মধ্যরাতে সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। দেখে মনে হচ্ছে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে খুনটি হয়েছে। এ ঘটনায় ডাকাতির কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। কারণ বাড়িটি বা ঝার কক্ষের কোনও কিছু এলোমেলো করা হয়নি।

এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, বাড়িটিতে ১০ বছর ধরে গৃহকর্মীর কাজ করা সানু তামাঙ ও দুই মালি। প্রতিবেশিরা জানান, তামাঙ ঝায়ের সহকারী ছিলেন। সে বাড়ির মধ্যেই একটি কক্ষে থাকতেন। তামাঙের স্ত্রী ও দুই কন্যা কালানকিতে বাস করেন।

তামাঙ দাবি করেছেন, ঝায়ের কক্ষে প্রবেশের আগে তিনি এই খুনের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। ঝা প্রতিদিন ভোর ৪টার সময় উঠতেন। কারণ ওই সময় এলাকার পানি সরবরাহ কোম্পানি পানি দেয়। ঝাকে তামাঙকে পানি সংগ্রহের জন্য পাঠাতেন। সোমবারও পানি সরবরাহের দিন ছিল। কিন্তু সকাল হয়ে গেলেও ঝা ঘুম থেকে ওঠেননি। তামাঙ চা নিয়ে ঝায়ের কক্ষে যান। সেখানে তিনি রক্ত দেখতে পান। ওই কেউ একজন ঝায়ের আত্মীয় বানেশ্বরকে খবর দেন। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন।