যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের পাতানো ফল দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প এমন অভিযোগ করেন। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম শিকাগো ট্রিবিউন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, গুগল অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ট্রাম্পের অভিযোগের জবাবে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কোনও কাজ করছে না।
গুগলের ব্যাপারে ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শক ল্যারি কুডলো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন খতিয়ে দেখছে যে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী না। এ বিষয়ে কিছু তদন্ত ও বিশ্লেষণ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের দাবির তেমন কোনও ভিত্তি নেই। আর তিনি কি ব্যবস্থা নেবেন সেটাও স্পষ্ট নয়। কয়েকজন বলেছেন, সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পাল্টে দেওয়াটা আইন পরিপন্থী। একে কেন্দ্র করে ইন্টারনেটে গুগলের আধিপত্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
কিংস লন্ডন কলেজের ডিজিটাল টেকনোলজির সিনিয়র প্রভাষক মার্সিডিজ বুনজ বলেন, গুগল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করছে এমন ভাবাটা অস্বাভাবিক। গুগলের অনুসন্ধানের ফলাফল একটি নির্দিষ্ট গাণিতিক হিসাবে চলে। মূলত নৈকট্য ও বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে এগুলো সামনে আসে, রাজনৈতিক ভাবাদর্শে নয়। মানুষ যেটা বেশি পড়ছে অনেক সময় সেই লিংকও সামনে চলে আসে।
এমন সময়ে ট্রাম্প গুগলের সমালোচনা করে টুইট করলেন যখন মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে টুইটারের সিইও’র। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের জ্বালানি ও বাণিজ্য কমিটির মুখোমুখি হবেন টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি।