শিকাগো ট্রিবিউন

গুগলের বিরুদ্ধে পাতানো ফল দেখানোর অভিযোগ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের পাতানো ফল দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প এমন অভিযোগ করেন। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম শিকাগো ট্রিবিউন।

CTটুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, গুগলে ট্রাম্প নিউজ লিখে সার্চ করলে যেসব রেজাল্ট দেখায় সেগুলো শুধু ‘ফেক নিউজ মিডিয়া’র। অন্যভাবে বলা যায়, তারা আমার ও অন্যদের ক্ষেত্রে সাজানো ফল দেখায়। এর ফলে প্রায় সব স্টোরি ও নিউজই নেতিবাচক। ‘ফেক সিএনএন’ বিখ্যাত। রিপাবলিকান/কনজারভেটিভ ও নিরপেক্ষ মিডিয়ার পথ রুদ্ধ। ‘ট্রাম্প নিউজ’ লিখলে যেসব রেজাল্ট দেখানো হয় এর ৯৬ শতাংশই বামপন্থী মিডিয়ার। এটা খুবই বিপদজনক। গুগল এবং অন্যরা কনজারভেটিভদের কণ্ঠ রোধ করছে। তারা ভালো তথ্য ও সংবাদ গোপন করছে। আমরা কী দেখতে পারবো আর কী দেখতে পারবো না; সেটা তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর অবস্থা।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, গুগল অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ট্রাম্পের অভিযোগের জবাবে ‍গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কোনও কাজ করছে না।

গুগলের ব্যাপারে ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শক ল্যারি কুডলো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন খতিয়ে দেখছে যে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী না। এ বিষয়ে কিছু তদন্ত ও বিশ্লেষণ করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের দাবির তেমন কোনও ভিত্তি নেই। আর তিনি কি ব্যবস্থা নেবেন সেটাও স্পষ্ট নয়। কয়েকজন বলেছেন, সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পাল্টে দেওয়াটা আইন পরিপন্থী। একে কেন্দ্র করে ইন্টারনেটে গুগলের আধিপত্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।

কিংস লন্ডন কলেজের ডিজিটাল টেকনোলজির সিনিয়র প্রভাষক মার্সিডিজ বুনজ বলেন, গুগল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করছে এমন ভাবাটা অস্বাভাবিক। গুগলের অনুসন্ধানের ফলাফল একটি নির্দিষ্ট গাণিতিক হিসাবে চলে। মূলত নৈকট্য ও বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে এগুলো সামনে আসে, রাজনৈতিক ভাবাদর্শে নয়। মানুষ যেটা বেশি পড়ছে অনেক সময় সেই লিংকও সামনে চলে আসে।

এমন সময়ে ট্রাম্প গুগলের সমালোচনা করে টুইট করলেন যখন মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে টুইটারের সিইও’র। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের জ্বালানি ও বাণিজ্য কমিটির মুখোমুখি হবেন টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি।