দ্য স্টার

মালয়েশিয়ায় জোরদার হচ্ছে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের 'ক্ষমা করা'জনিত কর্মসূচির মেয়াদ আজই শেষ হচ্ছে। এরপর আগামীকাল (৩১ আগস্ট, শুক্রবার) থেকে দেশজুড়ে বড় ধরনের ধরপাকড় অভিযান শুরু করবে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আর এ অভিযানকে সামনে রেখে অবৈধ অভিবাসীদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। এতে শ্রমিক সংকটে পড়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার।

দ্য স্টারের প্রথম পাতা
মালয়েশিয়ায় এতোদিন থ্রি প্লাস ওয়ান নামক ক্ষমা ঘোষণা কর্মসূচি চলছিলো। এর আওতায় অবৈধ অভিবাসীরা ৩০০ মালয়েশীয় রিঙ্গিত জরিমানা এবং বিশেষ পাসের জন্য আরও ১০০ মালয়েশীয় রিঙ্গিত পরিশোধের বিনিময়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। বৃহস্পতিবার এ কর্মসূচির সময়সীমা শেষ হচ্ছে। বুধবারই (২৯ আগস্ট) অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তফার আলি জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমা প্রদানের সময়সীমা বাড়ানো হবে না। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের অভিযান জোরদার করব। এ কর্মসূচিতে (ক্ষমা প্রদানের কর্মসূচি) অংশ নিতে আমরা তাদের যথেষ্ট সময় দিয়েছি। সুতরাং আর সময়সীমা বাড়ানো হবে না। অবৈধ অভিবাসীরা ক্ষমা পেতে ও দেশে ফিরে যেতে এখনও দেশজুড়ে আমাদের অফিসগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।’

মুস্তফারের দাবি, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। তিনি জানান, জানুয়ারি থেকে আগস্টের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৯,২০৮টি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮ হাজার ৬৩ জন অবৈধ অভিবাসী ও ৭৯৯ জন নিয়োগকারীকে। মুস্তফার জানান, শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া অভিযান আরও জোরালো হবে। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমাদের প্রচেষ্টা আরও জোরালো হবে। কারণ আমরা দেশকে অবৈধ অভিবাসী থেকে মুক্ত করতে চাই।’

এদিকে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক সংকটে পড়েছে। ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারার্স এর প্রেসিডেন্ট দাতুক সোহ থিয়ান লাই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বিদেশি শ্রমিক সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটলে চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে স্থানীয় প্রস্তুতকারকরা হিমশিম খাবে। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পণ্যের অর্ডার ও ব্যবসায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বিশেষ করে অভিজ্ঞদের সংখ্যা অপর্যাপ্ত থাকলে উৎপাদন ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। নতুন করে দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি শ্রমিক জোগাড় করা মুশকিল হয়ে পড়বে।’