মার্কিন পণ্যের ওপর মঙ্গলবার ছয় হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ করেছে চীন। এর আগে সোমবার চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২০ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। জবাবে বেইজিংও পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দেশের পরস্পরের ওপর আরোপিত শুল্ক কার্যকর হবে। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস।
চীনা হাতব্যাগ, চাল ও টেক্সটাইলের মতো পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক আরোপিত হবে। স্মার্ট ওয়াচ ও হাই চেয়ারের ওপর শুল্ক আরোপ হবে বলে ধারণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে পণ্যগুলোর ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে আর আগামী বছরের শুরু থেকে তা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। দুই দেশ চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ শুল্ক বহাল থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে শুল্ক আরোপ করলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই সতর্ক করেছে চীন। তবে চীনকে হুঁশিয়ার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পাল্টা ব্যবস্থা নিলে যুক্তরাষ্ট্রও অবিলম্বে তৃতীয় অধ্যায়ের ব্যবস্থা নিতে শুরু করবে। এর মানে হচ্ছে, চীনা পণ্যের ওপর আরও ২৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করেই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ছয় হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় বেইজিং।
মঙ্গলবার চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫ হাজার ২০৭টি মার্কিন পণ্যে ৬ হাজার কোটি ডলারের পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে বেইজিং। ট্রাম্প প্রশাসনই এমন শুল্ক আরোপে বেইজিংকে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ চীনের।