দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

উত্তর প্রদেশে অ্যাপলের কর্মকর্তাকে হত্যা, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের ভারতীয় সেলস ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারিকে লক্ষ্ণৌতে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এরইমধ্যে উত্তর প্রদেশ পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিবেক তিওয়ারিকে হত্যার ঘটনায় শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রথম পাতা
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে। আইফোন এক্স প্লাস উদ্বোধনের পর সহকর্মী সানা খানের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন বিবেক। সানা খান অভিযোগ করেন, ‘দু’জন পুলিশ বাইকে চেপে এসেছিল। আমরা ওদের এড়ানোর চেষ্টা করছিলাম, তখন ওরা আমাদের থামায়। হঠাৎ, আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই। গাড়ি চলতে থাকলো এবং একটি আন্ডারপাসের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেলো। বিবেকের মাথা থেকে রক্ত ঝরছিলো। আমি চিৎকার করে সাহায্য চাইতে লাগলাম। দ্রুত পুলিশের একটি দল এসে বিবেককে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। পরে আমাকে জানানো হলো বিবেক আর বেঁচে নেই।’

বিবেক তিওয়ারিকে যারা থামানোর চেষ্টা করেছিল সেই প্রশান্ত চৌধুরী এবং সন্দীপ কুমার গোমতী নগর থানায় নিয়োজিত ছিল। এদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পরে তাদের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রশান্ত চৌধুরীর দাবি, বিবেক তিওয়ারি ও সানা খান গাড়ি নিয়ে তাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেকারণে তাদের থামাতে বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়েছে তারা।

এই গুলি চালনার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা ও পি সিং। তিনি বলেছেন এটি একটি ফৌজদারি মামলা এবং কোনও পুলিশ যে কাউকে গুলি করতে পারে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ও পি সিং বলেছেন, কনস্টেবলরা বাইকে ছিল।  চেকিংয়ের জন্য তারা বিবেক তিওয়ারির গাড়ি থামাতে যায়। কিন্তু তিনি গাড়ি থামাননি এবং গাড়ি দিয়ে বাইকে ধাক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বিবেক তিওয়ারির গলায় গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণেই বিবেকের মৃত্যু হয়েছে।