দ্য স্ট্রেইট টাইমস

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প-সুনামিতে গৃহহীন ৪৮ হাজার, সহায়তায় ১৮ দেশ

ইন্দোনেশিয়ায় শুক্রবারের ভূমিকম্প ও সুনামিতে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। এ ঘটনায় এরইমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪৮ হাজার মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে ১৮টি দেশ। এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার শিরোনাম করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস।

13পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চেক রিপাবলিক, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, হাঙ্গেরি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, নিউ জিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ভারত, চীন। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার বর্নিওর সুলাবেসি দ্বীপ এলাকায় গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেখানে কম্পনের পর আছড়ে পড়ে প্রলয়ঙ্করী সুনামির ঢেউ। সুউচ্চ ঢেউ লণ্ডভণ্ড করে দেয় উপকূলীয় এলাকা। শুক্রবারের কম্পন ও সুনামির পর শনিবার উপকূলে সন্ধান মিলেছে বহু মরদেহের। কয়েক দফা আফটার শকের কারণে ভবনের ধ্বংসাবশেষ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় উদ্ধারকারীরা ভারী যন্ত্রপাতির অপেক্ষায় রয়েছেন। আটকে পড়াদের আর্তনাদে সাড়া দিয়ে চলছে খাবার আর পানি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়ানোর কথা জানান কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে পালু শহরের বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

বিধ্বস্ত ভবনের নিচে চাপা অনেকেই এখনও জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে দুর্যোগের পর উদ্ধার তৎপরতার তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। পালু শহরের রোয়া রোয়া রিসোর্টের একটি হোটেলেই অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

ক্যাথলিক রিলিফ সার্ভিসের ইয়েননি সুরিয়ানি বলেন, আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সাহায্য সংস্থাকে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, পালুর প্রধান বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্থলপথের সড়কগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আর সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বললেই চলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই খাবার, পানি ও জ্বালানির জন্য বিভিন্ন দোকানে লুটপাট চালাচ্ছে। তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা এমন কাজ করছেন। সাহায্য সংস্থাগুলোর ত্রাণ যাতে চুরি হয়ে না যায় সেজন্য তা পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।