দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

নিয়োগ চূড়ান্তের জন্য প্রয়োজনীয় ভোট নিশ্চিত করলেন কাভানাহ

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্তের জন্য সিনেটরদের প্রয়োজনীয় ভোট নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প মনোনীত বিতর্কিত ব্রেট কাভানাহ। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠা এই বিচারপতির নিয়োগ চূড়ান্ত করতে শনিবার ভোটাভুটির কথা রয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই শুক্রবার দুই গুরুত্বপূর্ণ সিনেটরের সমর্থন নিশ্চিত করেন কাভানাহ। রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স এবং ডেমোক্র্যাট সিনেটর জোয়ে ম্যানকিনের সমর্থন পাওয়ায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠা বিতর্কিত কাভানাহর নিয়োগ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

14ব্রেট কাভানাহ’র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে ওঠার মধ্যেই তার নিয়োগ সম্ভাব্য চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানা গেল। কাভানাহ’র বিরুদ্ধে এফবিআই-এর তদন্তে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রিপাবলিকানরা দাবি করার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) ওয়াশিংটনের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করে লাখো মানুষ। সেখান থেকে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একজন প্রধান বিচারপতি ও আটজন বিচারপতি নিয়ে গঠিত। প্রেসিডেন্ট মনোনীত বিচারপতিদের নিয়োগ দেয় সিনেট। একবার নিয়োগ পাওয়ার পর পদত্যাগ,অবসর বা অভিশংসন ছাড়া ওই বিচারপতিরা আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ বছর বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। গত জুলাইয়ে ব্রেট কাভানাহকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করেন ট্রাম্প। কাভানাহর বিরুদ্ধে প্রফেসর ক্রিস্টিন ব্লাসে ফোর্ডসহ তিনজন নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে এফবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হন ট্রাম্প। শুরু থেকে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাঁচদিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এফবিআই। জনসমক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা না হলেও ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই প্রতিবেদনে কাভানাহকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার জানা গেছে মার্কিন কংগ্রেসে ৫১-৪৯ ভোটে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন কাভানাহ।