হিন্দুস্তান টাইমস

ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থাতে চার ঘণ্টা উড়ল ভারতীয় বিমান, পাইলট টের পাননি

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমান পরিবহণ সংস্থা ‘এয়ার ইন্ডিয়ার’ একটি বিমান উড্ডয়নের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমানটির সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে ঘষা লেগেছিল। এতে বিমানের নিচের দিকে বড় রকম ক্ষতি হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বৈমানিক ক্ষতির ভয়াবহ মাত্রা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থাতেই ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি তামিলনাড়ুর বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রাখে। বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ বিমানের ঘষায় প্রাচীর ভেঙে পড়ার ঘটনা লক্ষ করলে মুম্বাই বিমান বন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ১৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছ, ‘এআই এয়ারক্র্যাফট হিটস ওয়াল, ফ্লাইস ফোর আওয়ারস বিফোর ল্যান্ডিং ইন মুম্বাই।’Untitled

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) তামিলনাড়ুর ত্রিচি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে বিমানটি। কিন্তু সেসময় বিমানটির নিচের দিকে ঘষা লাগে ৫০ ফুট উঁচু সীমান্ত প্রাচীরের। তখনই যাত্রীরা প্রচণ্ড শব্দ ও ঝাঁকুনির কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ক্রুরা তখন যাত্রীদের এই বলে স্বান্তনা দিয়েছিলেন, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। উড্ডয়নের সময় বিমানটির গতি ঘন্টায় ২৫০ থেকে ২৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানটি বোয়িং ৭৩৭ মডেলের। এতে যাত্রী ছিল ১৩০ জন আর ক্রু ৬ জন। সংশ্লিষ্ট একজন বিশেষজ্ঞ ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে বলেছেন, ক্ষতি এতটাই ব্যাপক ছিল যে আর কিছুক্ষণ বিমানটি উড়লে বিপর্যয় ছিল অনিবার্য।
বৈমানিক ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অনুধাবনে ব্যর্থ হলেও ত্রিচি বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন দুবাইগামী বিমানটি সীমান্ত প্রাচীরের সঙ্গে ঘষা খেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বৈমানিককে জানানো হলে, তিনি জবাব দেন, বিমানের সব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিমানটি ওই অবস্থাতেই আরব সাগরের মাঝখান পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে সেটিকে মুম্বাইতে ফেরত আনা হয়। এসময় বিমানটি ৩৬ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ছিল! বিমানের গতি ছিল ঘন্টায় ৮২৬ কিলোমিটার। এয়ার ইন্ডিয়ার সাবেক বৈমানিক ভিকে কুকার মন্তব্য করেছেন, বিমানটি যদি এভাবে উড়তে থাকত তাহলে বিমানের যন্ত্রপাতি একের পর এক অকার্যকর হয়ে যেতে যা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলত।
সংশ্লিষ্ট পাইলট ও কোপাইলটকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।