দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

ভারতে ভুয়া এনকাউন্টার: তিন সেনা কর্মকর্তাসহ সাতজনের যাবজ্জীবন

প্রায় ২৪ বছর পর ভারতের আসামের পাঁচ বাসিন্দার হত্যাকাণ্ডের রায় দিয়েছে সামরিক আদালত। ১৯৯৪ সালে আসামের তিনসুকিয়া জেলায় পাঁচ বাসিন্দার হত্যা মামলায় ভারতের সাবেক এক মেজর জেনারেল ও দুই কর্নেলসহ সাত সেনা সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার (১৩ অক্টোবর) আদালত এই রায় দেয়। সোমবার (১৫ অক্টোবর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রথম পাতা
১৯৯৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির রাতে প্রবীণ সোনওয়াল, প্রদীপ দত্ত, দেবজিৎ বিশ্বাস, অখিল সোনওয়াল, এবং ভবেন মোরান নামের পাঁচজন যুবককে পাকড়াও করে সেনা। এরপর সে বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচ তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাঁচজনই অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সহ সভাপতি জগদীশ ভুঁইয়া গুয়াহাটি আদালতে আটকদের হাজির করানোর আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন। যে পিটিশনের ভিত্তিতে আটকদের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকোর্টের তরফে। অন্যদিকে, মরদেহগুলি উদ্ধারের পর সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, মৃতরা চরমপন্থী। সেনাবাহিনীর এ দাবির নিরিখে, হাইকোর্টে ফের আবেদন জমা দেন আসাম পেট্রো-কেমিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জগদীশ ভুঁইয়া। সেসময় এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এরপর সিবিআই এ মামলায় সামরিক আদালতের প্রস্তাব জানায়। সেই প্রস্তাবে হাইকোর্টের তরফে সিলমোহর দেওয়া হয়। পরে এ মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানেও সামরিক আদালতের কথা বলা হয়।

শেষমেশ আদালতের রায় প্রসঙ্গে জগদীশ জানান যে, এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন এই রায়ের ফলে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা আরও একবার প্রমাণ করল যে, দেশের যে কেউ বিচার পেতে পারেন।