দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আকবরের বিচার দাবি করলেন আরও ২০ নারী সাংবাদিক

সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়েরের একদিন পর ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন আরও এক নারী। এছাড়া সাবেক সম্পাদক আকবরের অধীনে কাজ করা অন্তত ২০ সাংবাদিক তাদের স্বাক্ষ্য বিবেচনায় নিতে আদালতকে অনুরোধ করেছেন। এসব নারীদের মধ্যে কেউ কেউ আকবরের হাতে নিপীড়িত হওয়ার দাবি করেছেন আবার কেউ কেউ নিপীড়নের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন বলে দাবি করেছেন। ভারতে সাড়া ফেলা মি টু হ্যাশট্যাগ কাম্পেইনের আলোচনার মধ্যে বুধবার এই খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।noname
মঙ্গলবার এসব নারী সাংবাদিকদের দেওয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন এখনকার তিন বার্তাকক্ষ প্রধান। ওই বিবৃতিতে বলেন আকবরের কৃতকর্ম স্বীকার না করা এবং    প্রায়িশ্চত না করার কারণে বহু নারী অনেক বছর ধরে তীব্র কষ্ট ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন মুম্বাই মিরর এর প্রধান সম্পাদক মিনাল বাগেল, দিল্লির দ্য এশিয়ান এজ’র আবাসিক সম্পাদক মনিষা পান্ডে, তুসিতা পাটেল, কনিকা গাহলুত ও সুপর্না শর্মা। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধে ডেকান ক্রনিকলে কর্মরত ক্রিস্টিয়ানে ফ্রান্সিস ছাড়া বাকি নারীরা আকবর প্রধান সম্পাদক থাকার সময়ে দ্য এশিয়ান এজ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।  

স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে তিন নারী সুপর্না শর্মা, গাহলুত ও তুসিতা পাটেল আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, যখন রামানি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললো তখন শুধু তিনি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলেননি বরং তিনি নারী বিদ্বেষী ও যৌনতার শিকার অনুসন্ধানের সংস্কৃতির ওপরও আলো ফেলেছেন।

এমজে আকবরের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি করেছিলেন প্রিয়া রামানি নামের এক সাংবাদিক। টুইটারে তিনি এমজে আকবরের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরেন। ২০১৭ সালের ভোগ ম্যাগাজিনেও এই অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর সেটা নিয়ে আবারও টুইট করেন প্রিয়া। এরপর তার বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ তোলেন আরও কয়েক নারী।