দ্য হিমালয়ান টাইমস

নির্মলাকে ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য: এসপি বিস্তা ও ইন্সপেক্টর ভাট্টা বরখাস্ত

নেপালের কিশোরী নির্মলা পান্তাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা তদন্তে অবহেলাজনিত কারণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সরকার। তারা হলেন, এসপি দিলিরাজ বিস্তা ও ইন্সপেক্টর জগদীশ ভাট্টা। নির্মলাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ‘বড় ধরনের যুদ্ধে’ একে ছোটখাটো এক জয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নেপালি সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

দ্য হিমালয়ান টাইমসের প্রথম পাতা
জুলাইয়ের শেষের দিকে স্কুল শিক্ষার্থী নির্মলা পান্তা নিখোঁজ হয়। পরদিন আঁখের ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ।  ৩০ জুলাই নির্মলার শেষকৃত্য হয়। পরিবারের অভিযোগ,মৃতদেহ উদ্ধারের পরদিনই তার শেষকৃত্য করতে তাদেরকে বাধ্য করেছে পুলিশ, স্থানীয় সরকার ও জেলা প্রশাসন। নির্মলার পরনে যে কাপড় ছিল তাও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, অপরাধের এলাকা থেকে আলামত নষ্ট করতে পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ন্যায়বিচারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। 

নির্মলাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা তদন্তে অবহেলা ও দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে ব্যর্থতার জন্য এসপি দিলিরাজ বিস্তা ও ইন্সপেক্টর জগদীশ ভাট্টাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কেন তাদের বরখাস্ত করা হবে না তার জবাব দিতে বলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নেপালি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ওই দুই কর্মকর্তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামকৃষ্ণ সুবেদি হিমালয়ান টাইমসকে জানান, ওই দুই কর্মকর্তা তাদেরকে বরখাস্ত না করার জন্য যেসব যুক্তি দেখিয়েছেন তা সন্তোষজনক ছিল না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেম কুমার রায় তাদেরকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নির্মলাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার দিন এসপি বিস্তা কাঞ্চনপুর জেলা পুলিশের প্রধান ছিলেন। আর ইন্সপেক্টর ভাট্টা মাহেন্দ্রনগর পুলিশ ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) নেপালি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা দুইজন অপেশাদারিত্ব ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখিয়েছে, ন্যুনতম অপরাধ তদন্তের মানদণ্ড অনুসরণ করেনি এবং আলামত নষ্ট করেছে।