দ্য হিমালয়ান টাইমস

অস্থায়ী সরকারি কর্মচারিদের বিক্ষোভ

স্বয়ংক্রিয় স্থায়ী মর্যাদাসহ বিভিন্ন দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সাধারণ প্রশসান দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেছে অস্থায়ী সরকারি কর্মচারিরা। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে আট হাজার অস্থায়ী কর্মচারিকে ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন এসব অস্থায়ী কর্মচারিরা। ছাটাই হওয়া এসব কর্মচারিদের মধ্যে রয়েছেন কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারি ও চালকেরা।noname
নেপালের অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক এবং দৈনিক মজুরি কর্মচারি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট কুমার রাউত বলেন, মাত্র তিন মাসের বেতন দিয়ে ২০ বছর ধরে কাজ করা কর্মচারিদের ছাটাই করা অন্যায্য। বুধবারের বিক্ষোভের অন্যতম এই আয়োজক বলেন, তারা এটা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, যারা এখনও কর্মক্ষম রয়েছে তাদের পদ খালি থাকা সাপেক্ষে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যদি পদ খালি না থাকে বা কাজে যারা অক্ষম হয়ে পড়েছে তাদের মর্যাদার সঙ্গে অবসরের সুযোগ দিতে হবে। যাতে করে কাজ হারানোর পর তারা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

কুমার রাউত বলেন, আমরা ২০১৭ সালের ৪ মে মন্ত্রিপরিষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি করছি। ওই সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কমপক্ষে পাঁচ বছর কাজ করা সরকারি কর্মচারিরা এক মাসের বেতন ও বেঁচে থাকাকালীন প্রতিবছর ১৫ দিনের চিকিৎসা ব্যয় পাবে।

বৃহস্পতিবার সরকারের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনা ফলপ্রসু না হলে আন্দোলন কঠোর করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কর্মচারি ইউনিয়ন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ে অস্থায়ী কর্মচারিদের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় বৃহস্পতিবারের বৈঠকে একটি যুক্তিসঙ্গত উপসংহারে পৌঁছানোর বিষয়ে সম্মত হয় দুই পক্ষ। আলোচনার আগ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার কথা জানায় কর্মচারিরা।

মন্ত্রণালয়ের সচিব দিনেশ কুমার থাপালিয়া বলেন, একীভূত নীতি গ্রহণের বিষয়ে আমলাতান্ত্রিক স্বীকৃতির পর সরকার অস্থায়ী কর্মচারিদের ছাটাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একীভূত করা হয়েছে, কমিটি, কমিশন, প্রজেক্ট নিয়ে হয় এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি নয়তো প্রাদেশিক ও স্থানীয় সরকার গঠনের পর তাদের কাছে ন্যস্ত করা হবে। তিনি বলেন, এসব কারণে পদের সংখ্যা কমাতে হয়েছে। ফলে আমরা প্রায় ২০ হাজার অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারিদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। একারণে প্রথম ধাপে আট হাজার কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের তিন মাসের বেতন দিয়ে চলতি অর্থ বছরের শুরু থেকেই ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে তিনি বলেন, কর্মচারিদের দাবিগুলোর বিষয়ে সরকার ইতিবাচক।