দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

অ্যাটর্নি জেনারেল সেশনসকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলবামার সাবেক এই সিনেটর তারিখহীন এক পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট, আপনার অনুরোধেই আমি পদত্যাগপত্র দাখিল করছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আমার সময়ে আমরা আইনের শাসন পুনর্বহাল ও সমুন্নত রেখেছি’। এ বিষয়টি বৃহস্পতিবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

TWPবুধবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেসনসকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার মঙ্গল কামনা করছি।’

হোয়াইট হাউসকে পাস কাটিয়ে রুশ সংযোগ তদন্ত থেকে পার পেতে ব্যর্থতার জন্য নিজের শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের বারবার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। জেফ সেসনসকে সরিয়ে দেওয়ার পর ম্যাথিউ হুইটকারকে অ্যাটর্নি জেনারেলের অস্থায়ী দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। হুইটকার রুশ তদন্তের সমালোচক।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ জন কেলি বুধবার সেসনসকে পদত্যাগ করতে বলেন। এরপরই ট্রাম্প মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

২০১৭ সালের মার্চে সেসনস রুশ সংযোগ তদন্ত নিয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বারবার তার আইন কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন। তখন থেকে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণা শিবির ও মস্কোর মধ্যে সম্ভাব্য যোগাযোগের বিষয়ে প্রমাণ অনুসন্ধান শুরু করেন বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। আইন মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে বিস্তৃত এই তদন্তের কারণে ট্রাম্পের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৭ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সেশনস নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন না। আর যদি তিনি নিজেকে রক্ষা করতে চান তাহলে তাকে আমাকে তার চাকরি নিয়ে কথা বলতে হবে। আমি অন্য কাউকে বেছে নেব’।

প্রেসিডেন্ট সরাসরি বিশেষ কৌসুলিকে বরখাস্ত করতে পারেন না। তবে সেশনসের পরিবর্তে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তার সেই ক্ষমতা থাকবে। তিনি চাইলে রুশ সংযোগ তদন্ত বন্ধ করেও দিতে পারবেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রজেনস্টেইন এখন আর মুলারের তদন্ত দেখভাল করছেন না। ম্যাথিউ হুইটকারই সেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। ২০১৭ সালের জুলাইতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পর এর সঙ্গে রুশ সংযোগ তদন্ত খতিয়ে দেখতে মুলারকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। বিচারে বাধা সৃষ্টি করতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা তা এখনও তদন্ত করে দেখছেন বিশেষ কৌসুলি মুলার।

সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয় প্রেসিডেন্টের অভিশংসনে সাংবিধানিক একটি ধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রজেনস্টেইন। বুধবার তাকে ডেকে পাঠানো হয় হোয়াইট হাউসে। হোয়াইট হাউসের তরফে একে পূর্বঘোষিত বৈঠক বলে দাবি করা হলেও রজেনস্টেইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর পর শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনও সেই ঘোষণা আসেনি।