ডন

কাতারের রাজপুত্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ নাকচ নওয়াজের

কাতারের রাজপুত্র শেখ হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল-থানির সঙ্গে কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন করার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত এক শুনানিতে এমন দাবি করেন তিনি। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।

ডনের প্রথম পাতা
পানামা পেপার্স দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্রে কাতারের রাজপুত্র ও নওয়াজ শরিফের মধ্যে সংযোগ থাকার কথা উল্লেখ করেছে যৌথ তদন্ত দল। এ ব্যাপারে বিচারপতি মোহাম্মদ আরশাদ মালিক নওয়াজের কাছে জানতে চান। বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে নওয়াজ বলেন, ‘আমি কখনও রাজপুত্র হামাদ বিন জসিম আল থানির সঙ্গে কখনও কোনও লেনদেন করিনি। ওয়ার্কশিট ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে যে লেনদেনের কথা বলা হয়েছে তা ঠিক নয়।’

নওয়াজের দাবি, সৌদি আরবে নির্বাসিত থাকাকালীন পরিবারের ভরণপোষণের অর্থ ছিল না বলে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। ১৯৯৯ সালে তার সরকারকে উৎখাত করার পর নির্বাসিত অবস্থায় তাকে ও তার পরিবারকে বাবা মিয়া মোহাম্মদ শরিফই দেখাশোনা করেছেন বলে দাবি তার। নওয়াজ বলেন, ‘আমার বাবাই আমাদের ব্যয়ভার বহন করেছেন’।

উল্লেখ্য, লন্ডনে কেনা বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধে দেওয়া অর্থের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে ৬ জুলাই নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত। তার মেয়ে মরিয়মকে দেওয়া হয় ৭ বছরের কারাদণ্ড। তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে মরিয়মকে আরও এক বছর সাজা দেয় আদালত। তবে ওই দুই সাজার মেয়াদ এক সঙ্গে কার্যকর করার উল্লেখ ছিল রায়ে। মরিয়মের স্বামী ও নওয়াজের মেয়ের জামাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সফদরকেও আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছে। সফদর আদিয়ালা জেলে অন্তরীণ রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এখনও আল আজিজিয়া স্টিল ও হিল মেটাল সংক্রান্ত মামলা, ফ্ল্যাগশিপ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে বিনিয়োগ সংক্রান্ত মামলাসহ আরও কয়েকটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন আছে।