আনাদোলু পোস্ট

ইস্তানবুলে খাশোগির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

মক্কা ও মদিনার পর তুরস্কের ইস্তানবুলেও সৌদি কনস্যুলেটি হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির গায়েবানা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাশ না পাওয়া গেলেও শুক্রবারের ওই জানায় খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সোচ্চার আন্দোলনকর্মী, রাজনীতিক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আনাদোলু পোস্ট শনিবার (১৭ নভেম্বর) খবরটিকে তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে।

আনাদোলু পোস্ট পত্রিকার ২৭ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখের প্রচ্ছদ

কোনও মৃতের লাশ পাওয়া না গেলে মুসলিম ধর্মীয় রীতিতে পড়া হয়ে থাকে গায়েবানা জানাজা। ইস্তানবুল শহরের ফাতিহ মসজিদে খাশোগির গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে তুর্কি-আরব মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন। খাশোগি এই সংগঠনের একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ফেইথ ওকি বলেন, ‘আমরা ধরেই নিয়েছি আর কখনও লাশ ফেরত পাবো না। এজন্যই আমরা এই জানাজার আয়োজন করেছি।’

খাশোগি হত্যার বিচার দাবিতে নবগঠিত ‘জামাল খাশোগি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন’র সদস্যরা এই গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনকর্মী, সাংবাদিক, রাজনীতিক ছাড়াও অনেক সাধারণ তুর্কি নাগরিকও এই জানাজায় অংশ নেন।

এর আগে সৌদি আরবের দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায়ও খাশোগির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ ও মদিনায় মসজিদে নববীতে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মদিনায় জানাজায় অংশ নেন খাশোগির সন্তান সালাহ খাশোগি।

সৌদি যুবরাজের সংস্কার পরিকল্পনার কঠোর সমালোচক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। প্রথমে কয়েক দফা অস্বীকার করলেও পরে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। রিয়াদের তরফে দাবি করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ভুল করে কর্মকর্তারা খাশোগিকে হত্যা করেছে। পরে তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে কনস্যুলেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।