দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আলিঙ্গন আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে কাছে টানলেন মোদি

মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  একে মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মালদ্বীপের আগের মেয়াদের প্রেসিডেন্ট চীনপন্থী হওয়ায় তার শাসন মেয়াদে দেশটিতে বেইজিং-এর প্রভাব ছিল। তবে নতুন প্রেসিডেন্ট সোলিহ ভারতপন্থী হওয়ায় তার শপথগ্রহণের দিন থেকেই দিল্লিকে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাতে দেখা গেছে। দুই দেশই একে অপরকে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রবিবার (১৮ নভেম্বর) এ খবরটিকে প্রথম পাতার শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রথম পাতা
গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন সোলিহ। বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে সাবেক  প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনকে পরাজিত করেন তিনি।  আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে  অভিযোগ ছিল তিনি দেশকে  চীনের কাছে  বিকিয়ে  দিচ্ছেন। শুধু তাই  নয় বিরোধীদের নির্মমভাবে দমন করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

‘ভারতই প্রথম’ নীতিতে দেশকে ফেরানোর ইঙ্গিত জয়ের পর পরই দিয়েছিলেন মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট সোলিহ। যে সব ভারতীয় প্রকল্পের কাজ আটকে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ফের চালু করার আশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সংস্থাগুলোকে ফের মালদ্বীপে কাজ শুরু করতে দেওয়া এবং ভারত-মালদ্বীপ সামরিক সম্পর্ক ফের মজবুত করার ইঙ্গিত দেন তিনি। শনিবারের (১৭ নভেম্বর) শপথ অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ স্তরের বিদেশি নেতা হিসেবে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোলিহ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, মালদ্বীপকে ফের ভারতমুখী করতে চলেছেন তিনি। এদিন শপথগ্রহণের পর সোলিহকে জড়িয়ে ধরেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। কোনও বিদেশি নেতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এটিই প্রথম উপস্থিতি মোদির।

শপথ অনুষ্ঠানের পর দু’দেশের শীর্ষ বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে মালদ্বীপের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথ সহযোগিতার বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে।