দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদির পক্ষে ট্রাম্পের ভূমিকায় ক্ষোভ সিনেটরদের

ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদির পক্ষে ট্রাম্পের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সিনেটররা। একইসঙ্গে সৌদি জোটের এ আগ্রাসনের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরে আসার পক্ষে রায় দিয়েছেন তারা। তবে কংগ্রেসের এ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না সিআইএ প্রধান। এ বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

Ny Timesযুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য, দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ হিসেবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে স্থিতিশীল করা। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা হাদি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এবার মার্কিন সিনেটররা এই যুদ্ধে সমর্থন বন্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবের ওপর থেকে মার্কিন সিনেটরদের সমর্থন কমে গেছে।

দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব জানায়, ইস্তানবুলের কনস্যুলেটে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে খুন হন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ নাকচ করে আসছে।

সিনেটের শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাদের তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলেও সিআইএ প্রধান জিনা হ্যাসপেলের অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি অনেকে। একজন সিনেটরের অভিযোগ, কিছু আড়াল করতেই হ্যাসপেল উপস্থিত ছিলেন না।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবকে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং দেশটির রাজপরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে গেছেন। গত সপ্তাহে সিআইএর একটি প্রতিবেদনও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি যেখানে সৌদি যুবরাজকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয়েছিলো।

সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর বব কর্কার বলেন, এটা সবার কাছেই স্পষ্ট যে, সৌদি যুবরাজ খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমি বুঝতে পারছি যে, সৌদি আরব আমাদের মিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশটির যুবরাজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছেন।’