দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল

হুয়াওয়ের সিএফওর বিষয়ে কানাডাকে চরম মূল্য দিতে হবে: চীন

চীন কানাডার প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের জন্য কানাডায় গ্রেফতার করা হুয়াওয়ের কর্মকর্তাকে ছেড়ে না দিলে তার জন্য কানাডাকে চরম মূল্য দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুল্ক নিয়ে হওয়া সমঝোতা যাতে ভেঙে না যায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আপাতত নরম সুরে কথা বলছে চীন। আর কঠোরতা বাড়িয়েছে কানাডার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কানাডীয় সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘চায়না থ্রেটেন্স কানাডা ওভার হুয়াওয়ে সিএফও অ্যারেস্ট।’globe

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম মেং ওয়ানঝু। বর্তমানে তিনি হুয়াওয়ের সিএফও। একই সঙ্গে তিনি হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়েও এবং তার উত্তরাধিকারী। তাকে গত পয়লা ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় কানাডা থেকে। হুয়াওয়ের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি করার ব্যবস্থা আছে এমন আশঙ্কা তো আগে থেকেই ছিল, আর এবার ইরানের বিরুদ্ধে থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে আর্থিক লেনদেনের প্রকল্প তৈরিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে হুয়াওয়ে। তাই তাকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে গ্রেফতার করেছে কানাডা। কিন্তু চীন এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে ওয়ানঝুর মুক্তি দাবি করেছে। তারা বলেছে, ওয়ানঝু মুক্তি না পেলে এর জন্য কানাডাকে চরম মূল্য দিতে হবে।

গ্লোব অ্যান্ড মেইল লিখেছে, চীনের প্রতিবাদের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে। প্রথমে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমালোচনা করলেও এখন চীন খুব সুস্পষ্টভাবে কানাডার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জোরালো করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেছেন, শুল্ক আরোপ না করার বিষয়ে ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত না করতেই দেশটির প্রতি চীন তুলনামূলক নরমভাবে কথা বলছে।

পিপলস ডেইলি ও বার্তা সংস্থা জিনহুয়াকে চীনের সরকারি প্রচারণা কাঠামোর প্রধান দুই শাখা আখ্যায়িত করে গ্লোব অ্যান্ড মেইল কানাডার প্রতি তাদের প্রতিবেদনের কিছু অংশ তুলে ধরেছে। এসব বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ ক্যানাডার বিষয়ে তীব্র ভাষায় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

পিপলস ডেইলি লিখেছে, ‘কানাডার আত্মবিশ্বাস, সক্ষমতা, ও সামর্থ্যকে কারওর ছোট করে দেখা উচিত না।’ বার্তা সংস্থা জিনহুয়ার ভাষ্য, ‘ কানাডার নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ, অযৌক্তিক, আইনবহির্ভূত অকাজ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’