দ্য হিন্দুস্তান টাইমস

মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে চিন্তিত কংগ্রেস

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) হারানোর একদিন পর ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের মনোযোগ এখন নিবদ্ধ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারণে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে তাদের পছন্দ দুইজন দুইজন করে। একজন বর্ষীয়াণ অভিজ্ঞ নেতা আরেকজন উদ্যমী, অপেক্ষাকৃত তরুণ। এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদপত্র ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘কং ইন হাডেল ইন পিক সিএমস।’Capture

রাজস্থানে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কংগ্রেস। ১৯৯ আসনের মধ্যে তাদের কাছে গেছে ৯৯টি আসন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১৩ জন আর বহুজন সমাজবাদী পার্টির ৬ জন প্রার্থী জিতেছেন। এরা সবাই কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ২৩০ আসনের মধ্যে তাদের কাছে গেছে ১১৪টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ১১৯টি। আর ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস ৬৮টি ও বিজেপি ১৫টি আসন পেয়েছে। ‘ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের’ প্রধান সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেসের এই জয় থেকে বোঝা যায়, মানুষ বিজেপির ঋণাত্মক রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে।

মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দুইজনকে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদের একজন সাবেক ইউনিয়ন মন্ত্রী ও রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি কমল নাথ। তার বয়স ৭২ বছর। অপরজন হলেন লোকসভায় কংগ্রেসের হুইপ এবং রাজ্য নির্বাচনি প্রচারণা কমিটির প্রধান জ্যোত্রিয়াদিত্য সিন্ধিয়া। তার বয়স ৪৭ বছর। তাদের দুইজনের কেউই অবশ্য নির্বাচনে অংশ নেননি। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্য কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর হাতে তুলে দিতে একটি প্রস্তাব পাস করিয়েছে।

রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগের বিষয়ে আলোচিত হচ্ছে আশোক গেহলট এবং শচীন পাইলটের নাম। অশোক গেহলট কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তার বয়স ৬৭ বছর। অন্যদিকে শচীন পাইলট রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি। তারা দুইজনই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দুই জনই জিতেছেন।

রাজস্থানে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে তা জানতে চেয়ে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা কেসি ভেনুগোপাল। তিনি তাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, তারা কাকে কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বিবেচনা করছেন। সংসদ সদস্যরা তাদের পছন্দের কথা জানিয়েছেন।