দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

দুই দফায় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ইঙ্গিত মার্কিন সিনেটরদের

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) মার্কিন সিনেটরদের দুইটি পদক্ষেপে ইঙ্গিত মিলেছে তাদের সৌদি বিরোধিতার কথা। সৌদি আরব প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানকে উপেক্ষা করেই দেশটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার, প্রথম ধাপে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। আর তার কিছুক্ষণ পরই অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেন। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতা
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়
অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্মনামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী-শিশুও রয়েছে। এই যুদ্ধের সমালোচনা ক্রমাগত তীব্র হতে থাকে। আর এ বছরের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তানবুল কনস্যুলেটে হত্যার শিকার হন যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এ ঘটনায়ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তোপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। বিশেষ করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ সালমানকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এ হত্যায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা বার বারই অস্বীকার করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন অবস্থানকে উপেক্ষা করে মার্কিন সিনেটে একদিনেই পাস হয় দুইটি প্রস্তাব। বৃহস্পতিবার সিনেটে ইয়েমেন যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধের প্রস্তাবটি ৫৬-৪১ ভোটে পাস হয়। সাতজন রিপাবলিকান তাদের দলীয় অবস্থান থেকে বের হয়ে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দেন।  এর কিছুক্ষণ পরই উত্থাপিত হয় আরেকটি প্রস্তাব। খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করার কথা বলা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় ওই প্রস্তাবটিও। 

 

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) মার্কিন সিনেটরদের দুইটি পদক্ষেপে প্রকাশ পেয়েছে তাদের সৌদি বিরোধিতা। সৌদি আরব প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানকে উপেক্ষা করেই দেশটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার, প্রথম ধাপে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। আর তার কিছুক্ষণ পরই অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেন। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্মনামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী-শিশুও রয়েছে।এই যুদ্ধের সমালোচনা ক্রমাগত তীব্র হতে থাকে। আর এ বছরের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তানবুল কনস্যুলেটেহত্যার শিকার হন যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসিত সৌদিসাংবাদিক জামাল খাশোগি। এ ঘটনায়ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তোপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। বিশেষ করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ সালমানকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এ হত্যায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা বার বারই অস্বীকার করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন অবস্থানকে উপেক্ষা করে মার্কিন সিনেটে একদিনেই পাস হয় দুইটি প্রস্তাব। বৃহস্পতিবার সিনেটে ইয়েমেন যুদ্ধে মার্কিনসামরিক সহায়তা বন্ধের প্রস্তাবটি ৫৬-৪১ ভোটে পা হয়। সাতজন রিপাবলিকান তাদের দলীয় অবস্থান থেকে বের হয়ে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দেন।  এর কিছুক্ষণ পরই উত্থাপিত হয় আরেকটি প্রস্তাব। খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করার কথা বলা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় ওই প্রস্তাবটিও।