দ্য গার্ডিয়ান

ইউরোপে ভ্যাকসিনবিরোধী তৎপরতায় দ্বিগুণ হয়েছে হাম আক্রান্তের সংখ্যা

ইউরোপজুড়ে অনলাইনে ক্রমাগত জোরালো হয়ে ওঠা ভ্যাকসিনবিরোধী তৎপরতার কারণে মানুষের জীবন হুমকিতে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সামাজিক মাধ্যমে চলা ওই তৎপরতাকে সমর্থন জানিয়ে অনেকে ভ্যাকসিন নিতে সংশয় জানাচ্ছেন। ইউরোপজুড়ে হামের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পেছনে এ ‘ভ্যাকসিন অনীহা’কে কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শনিবার (২২ ডিসেম্বর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রথম পাতা
ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সংশয়ীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জনতোষণবাদী ডানপন্থী রাজনীতিবিদরাও চিকিৎসা কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে সংশয়ী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দুই শ্রেণির মানুষের ভ্যাকসিনবিরোধী প্রচারণায প্রভাবিত হচ্ছে মানুষ। তারা ভ্যাকসিনে অনীহা প্রকাশ করছে। আর এতে হাম, জ্বর ও অন্যান্য রোগে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর ইউরোপে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে; ২০১৭ সালের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। আর এ শতাব্দীর মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত বছর ইউরোপে হামে আক্রান্ত হয়ে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

ভ্যাকসিনজনিত নিরাপত্তা নিয়ে ভুয়া তথ্য সরবরাহ ও এ নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরির জন্য জনতোষণবাদী ডানপন্থী নেতাদের দায়ী করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমিশনার ভাইতেনিস আন্দ্রিয়োকাইতিস। হৃদরোগবিষয়ক সাবেক এ সার্জন জানান, তিনি এ ব্যাপারে খুব চিন্তিত। ভাইতেনিস বলেন, ‘শুধু আমি নই; মহামারী বিশেষজ্ঞ, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও অনেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বৈজ্ঞানিক সমাজের সবাই উদ্বেগে আছে। হামের কারণে মৃত্যু হচ্ছে, শিশুরা এ রোগে মারা যাচ্ছে-এটা কল্পনাতীত। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ২০২০ সাল নাগাদ ইউরোপকে হামমুক্ত করব।’