দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

নির্ধারিত সময়ের আগেই ম্যাটিসকে সরিয়ে দিচ্ছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, ম্যাটিস ফেব্রুয়ারি থেকে অবসরে যাবেন। কিন্তু ম্যাটিসের পক্ষে ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা কথা বলা শুরু করলে ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত পাল্টান। ফেব্রুয়ারি নয় ডিসেম্বরের সঙ্গে শেষ হবে ম্যাটিসের মন্ত্রিত্ব। এ বিষয়ে মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার একটি শিরোনাম করেছে, ‘স্টাং বাই রিবুক, প্রেসিডেন্ট ফোর্সেস ম্যাটিস আউট আর্লি।’Capture

গত বৃহস্পতিবার জিম ম্যাটিস হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পরেই ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, ম্যাটিস ফেব্রুয়ারি থেকে আর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন না। ম্যাটিসের মন্ত্রিত্বকালের প্রশংসা করে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ম্যাটিস ‘ডিস্টিংশনের’ সঙ্গে অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড থেকেই বোঝা যায় ম্যাটিস যে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন তিনি তা তখনও পড়ে দেখেননি।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জানিয়েছেন, ওই পদত্যাগপত্রে ম্যাটিস ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তার সমালোচনার কারণ, মিত্রদেরকে উপেক্ষা ও একনায়কদের প্রতি তার সমর্থন। সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েনের যে সিদ্ধান্ত ট্রাম্প নিয়েছেন তার সঙ্গে একমত নন ম্যাটিস।

এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সেখান তারা ম্যাটিসের প্রশংসা ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের ভাষ্যে ফুটে ওঠে ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতাও। ম্যাটিসের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট নেতারা।

এসব দেখেই ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত পাল্টান। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি শেষ করার বদলে জানুয়ারি থেকেই ম্যাটিসকে অবসরে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী প্যাট্রিক শ্যানাহ্যান হবেন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

যিনি নিজেই পদত্যাগপত্র দিয়ে দিয়েছেন, তাকে আবার বরখাস্ত করার ঘটনা বিস্মিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের। দিনের পর দিন তাদেরকেও দেখে যেতে হচ্ছে, কীভাবে টুইটার বার্তার মাধ্যমে মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতি পাল্টে চলেছেন ট্রাম্প।

ম্যাটিস ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন।  তার ইচ্ছে ছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার।