দ্য হিন্দুস্তান টাইমস

নির্বাচন উপলক্ষে ১০০ দিনের সফরে মোদি, ২০ প্রদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ১০০ দিনে ২০ প্রদেশ সফরের কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কর্মীদের চাঙ্গা করা, তিনটি প্রদেশের যে ১২৩ আসনে বিজেপি জিততে পারেনি গতবার সেগুলোতে জয় পাওয়ার জন্য নতুন কৌশল বাস্তবায়ন ও অন্যান্য দলের সঙ্গে নতুন করে সমঝোতা চূড়ান্ত করাসহ সামগ্রিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণার যে পরিকল্পনা তারই অংশ এই সফর কর্মসূচি। এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদপত্র ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘মোদি টু টাচ টোয়েন্টি স্টেটস ইন পার্টিস হান্ড্রেড ডে পুল ব্লিতজ।’leads

‘মোদি ঝড়ে’ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৮২ আসন পেছিল। কিন্তু এখন দলটির প্রত্যাশা যে ১২৩ আসনে তারা জয় পায়নি সেগুলোতে দলের অবস্থান সংহত করা। এজন্য তারা আসনগুলোকে ২৫ ভাগে ভাগ করেছে। প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও উড়িষ্যাতে লোকসভার ৭৭টি আসন রয়েছে। এই আসনগুলোর মধ্যে মাত্র ১০টি বিজেপির হাতে গেছে। বিজেপি প্রদেশগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা জোরদার করতে চায়।

আর এসব তৎপরতার কেন্দ্রে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। দলটির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা মন্তব্য করেছেন, বিজেপিতে মোদিই সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। তাই তার ভাবমুর্তিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক কৌশল বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। যে ১০০ দিনের সফরে মোদি বের হয়েছেন তাতে তিনি যেমন সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তেমনি ভাষণ দিচ্ছেন জনসভায়। ২৪ ডিসেম্বর তিনি উড়িষ্যাতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেছেন। খুর্দাতে এক জনসভায় তিনি ভাষণও দিয়েছেন। এরপর তিনি গেছেন আসামে। সেখানে মোদি ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ রেল-সড়ক সেতুর উদ্বোধন করেছেন।

আগামী ৪ জানুয়ারি তিনি আসামের শিলচরে ফিরবেন। আসামে লোকসভা ১৪টির মধ্যে ১১টিতেই জয় পেতে চায় বিজেপি। মোদি ৫ জানুয়ারি আবার উড়িষ্যা যাবেন। সেখানকার মায়ুরভাঞ্জ এলাকায় এক শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। ১৫ জানুয়ারিতে হওয়ার কথা তার আরেকটি জনসভা।

মোদির এই সফরের পাশাপাশি দলের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছেন অন্যান্য নেতারাও। বিশেষ বিশেষ লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এক এক জন নেতাকে। যেমন পুনম মহাজনের ওপর দায়িত্ব পড়েছে নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করার কাজ। ‘নেশন উইথ নমোর’ মতো স্বেচ্ছাসেবীদের সংস্থা গঠন থেকে শুরু করে ‘প্যাহলা ভোট মোদির’ মতো প্রচারণা চালানোর মতো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন ভোটারদের আকৃষ্টের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।