ভারতের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ লোকসভায় পাসের পর উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভায়ও পাস হলো আর্থিক সংরক্ষণ বিল তথা কোটা বিল। বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিপুল ভোটে বিলটি পাস হয়। একে আইনে পরিণত করতে এখন শুধু রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) কোটা বিল পাসের এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) আর্থিক সংরক্ষণ বিলটি লোকসভায় পাস হয়েছিল। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ৩২৩টি ভোট পড়ে বিলের পক্ষে। বিপক্ষে পড়ে ৩টি ভোট। এর একদিন পর বুধবার বিলটি রাজ্যসভায় উত্থাপিত হয়। এদিন বিলটি নিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিতর্ক চলে রাজ্যসভায়। শেষ পর্যন্ত তা ১৬৫ ভোটে পাস হয়। বিপক্ষে পড়েছে ৭টি ভোট। বিরোধীদের অভিযোগ, বিলটি নিয়ে ভোটের আগে তাড়াহুড়ো করছে বিজেপি সরকার।
রাজ্যসভায় বিলটি পাসের পর এবার তা যাবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তার স্বাক্ষরের পর আইনে পরিণত হবে বিলটি। আইনটি অনুযায়ী, পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লাখের কম বা ৫ একরের কম কৃষি জমি থাকলে কোটা সুবিধা পাবেন তরুণ-তরুণীরা। এর ফলে সংরক্ষণ বেড়ে হতে চলেছে ৬০ শতাংশ। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমা ৫০ শতাংশের বেশি হয়ে যাচ্ছে সংরক্ষণ।
ভোট বছরে সংরক্ষণের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুর বিরোধিতা কোনও দলই করেনি। তাই রাজ্যসভায় বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠা হওয়া সত্ত্বেও সেখানে বিপুল ভোটে পাস হয়ে যায় সংরক্ষণ বিল।