দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

ট্রাম্পের রুশ সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছিল এফবিআই

রাশিয়ার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পর কোনও গোপন সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আছে কি না তা খিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছিলেন ‘ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের’ (এফবিআই) গোয়েন্দারা। সংস্থাটির প্রধান প্রধান জেমস কমিকে ২০১৭ সালের মে মাসে বরখাস্ত করার পর শুরু হওয়া তদন্তের দুইটি দিক ছিল। এর একটি রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আঁতাতের ও অপরটি জেমস কমিকে বরখাস্ত করে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত প্রভাবিত করতে চাওয়ার। এ বিষয়ে মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ ১২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘এফবিআই ইনভেস্টিগেটেড ইফ ট্রাম্প ওয়ার্কড ফর দা রাশিয়ান্স।’weer

সাবেক একজন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলার সময় থেকেই ট্রাম্প-রাশিয়ার আঁতাতের বিষয়ে সন্দিগ্ধ হয়ে উঠেছিলেন এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু তারা তখন বুঝতে পারছিলেন না, এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে তদন্ত শুরু করাটা ঠিক হবে কি না ও এত বড় একটা বিষয় নিয়ে কীভাবে কাজ করা যেতে পারে।

কিন্তু ২০১৭ সালের মে মাসে সংস্থাটির সাবেক প্রধান জেমস কমির বরখাস্ত হওয়ার ঘটনাকে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তের সঙ্গে জড়িয়ে ট্রাম্পে দুই দফায় মন্তব্য করলে সন্দেহ বেড়ে যায় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। তারা এরপর তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্তের জন্য নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী রবার্ট মুলারের কার্যক্রমের কিছুদিন আগেই শুরু হয় এফবিআইয়ের তদন্ত।

তদন্তকারীরা রাশিয়ার সঙ্গে গোপন সহযোগিতামূলক সম্পর্কের পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলেন। আর সেটি এফবিআইয়ের তৎকালীন প্রধান জেমস কমির বিষয়ে। তাকে বরখাস্ত করে ট্রাম্প আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছিলেন তারা।

সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, এফবিআইয়ের তদন্তের দুইটি দিক আছে। একটি গুপ্তচরবৃত্তির, অপরটি অপরাধের। রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়। আর যদি ট্রাম্প আঁতাতের ঘটনা চাপা দিতে কমিকে বরখাস্ত করে থাকেন তাহলে তা আইনি কাজে বাধাপ্রদনের সূত্রে অপরাধ। এখন পর্যন্ত অবশ্য দুইটির কোনওটিই প্রমাণ করা যায়নি। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইদানীংকালে ইউক্রেনের বিষয়ে রিপাবলিকান পার্টির সুর নরম হয়ে গেছে। দেশটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান রাশিয়াকেই সুবিধা এনে দিচ্ছে।