দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

ভেনেজুয়েলায় জয়ের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছেন বিরোধীদের নেতা

ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদোর প্রতি সমর্থন বাড়ছে। একদিকে যেমন তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে তেমনি কথা বলছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার সমর্থনে গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার তেল ও সোনা কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে আরও খারাপ হয়ে পড়বে ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর মাধ্যমে সমর্থন কমবে মাদুরোর আর বাড়বে গুইদোর। মার্কিন সংবাদপত্র ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাদের মুদ্রিত সংখ্যার একটি শিরনাম করেছে এ বিষয়ে, ‘ইন ভেনেজুয়েলা ইনসার্জেন্ট সিস পাথ টু ভিক্টোরি।’Untitled
নিজেকে ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর থেকে দেশে যেমন তার প্রতি সমর্থন বাড়ছে তেমনি বিদেশী সরকারপ্রধানরা জুয়ান গুইদোকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন। দেশটির সেনা কর্মকর্তারাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যেই বর্তমান বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গুইদোর পক্ষে সরে গেছেন।
ভেনেজুয়েলার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জুয়ান গুইদোকে যারা স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ। গত সোমবার বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া এবং ডেনমার্ক।
এসব সমর্থন যদি শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষ্যে কার্যকর শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে তাহলে ভেনেজুয়েলায় ঘটবে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন। বিগত বছরগুলোতে যে অর্থনৈতিক নিম্নগতি, ব্যাপক দুর্নীতি এবং অপশাসন চলছে তা থেকে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের সুযোগ পাবে ভেনেজুয়েলানরা।
নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, এখন পর্যন্ত গুইদোকে নিরাপত্তার ব্যাপারে খুব একটা চিন্তিত মনে হচ্ছে না। কোনও ধরনের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই তিনি কারাকাসের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেশ-বিদেশ থেকে শত শত ফোন আসা সত্ত্বেও তিনি বিচলিত হয়ে পড়ছেন না। গুইদো মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা অগ্রগতি দেখছি কিন্তু যত দ্রুত হবে বলে আশা করেছিলাম, তা হচ্ছে না।’ তবে তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনীর নিম্ন পদে কর্মরত সদস্যদের বিরোধীদের প্রতি সমর্থন রয়েছে। ভয়ের কারণে তারা তা প্রকাশ করতে পারছেন না।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি দেশটির অর্থনীতিকে আরও বেশি দুর্বল করে তুলবে। অন্যদিকে গুইদো তার আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সহায়তায় দেশের সাধারণ জনগণের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর ফলে মাদুরো তার প্রভাব হারাবেন। 
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ফোন করার পর গুইদো ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। তিনি ট্রুডোকে অনুরোধ করেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে সম্প্রতি সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনার যে প্রস্তাব উঠেছে তাতে যেন তিনি সমর্থন না দেন। তার ভাষায়, ‘এটা আলোচনার সময় নয়।’